
নীলফামারীতে ৩৫ সেকেন্ডের ঘুর্নিঝড়ে লন্ডভন্ড-ঘরে ঘরে কান্নার রোল
মাত্র ৩৫ সেকেন্ডের এক আকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের ১১টি গ্রাম।
রোববার সকালে বয়ে যাওয়া এই ঝড়ে শত শত পরিবার তাদের ঘরবাড়ি ও সহায়-সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলোতে এখন কেবলই ধ্বংসের চিহ্ন, আর বাতাসে ভাসছে মানুষের কান্না ও হাহাকার।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঝড়ের পর গ্রামজুড়ে এক করুণ দৃশ্য। ভাঙা ঘরের টিন, উপড়ে পড়া গাছপালা আর বিদ্যুতের খুঁটি ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে চারপাশে। প্রায় এক হাজার পরিবার বিদ্যুৎহীন অবস্থায় অন্ধকারে ডুবে আছে। আজ সোমবার সকাল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো নিজেদের ভাঙা ঘরবাড়ি মেরামত ও গাছপালা সরানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে। অনেকে সহায়-সম্বল হারিয়ে বিধ্বস্ত ঘরের পাশে বসে কাঁদছেন।
জানা যায়, রোববার সকাল ৮টার দিকে গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের পাঁচটি ওয়ার্ডের ওপর দিয়ে এই ঘূর্ণিঝড় বয়ে যায়। এর আগে কয়েকদিন ধরেই নীলফামারীতে অবিরাম বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া বইছিল। ঝড়ের পরপরই জেলা প্রশাসক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার আশ্বাস দেন। পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ সংযোগ পুনঃস্থাপনের কাজ শুরু করেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ঘরবাড়ি নির্মাণে আর্থিক সহায়তা ও টিন বরাদ্দের জন্য ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তিনি আশ্বাস দেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হবে এবং প্রশাসনিক সব বিভাগ পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক তদারকি করছে।