বরেন্দ্রে ১৭ বছরে কমেছে ৯০ হাজার হেক্টর ফসলী জমি

অর্থনীতি জাতীয় রাজশাহী সারাদেশ
শেয়ার করুন....,

বরেন্দ্রে ১৭ বছরে কমেছে ৯০ হাজার হেক্টর ফসলী জমি

শিবলী সাদিক, রাজশাহীঃ

রাজশাহী, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁর বরেন্দ্র অঞ্চলে গত ১৭ বছরে তিন ফসলী আবাদি জমি প্রায় ৯০ হাজার হেক্টর কমেছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, ২০০৭-০৮ সালে রাজশাহীতে আবাদযোগ্য জমি ছিল ১ লাখ ৯১ হাজার ৭৮০ হেক্টর, যা ২০২৫ সালে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫৫ হাজার হেক্টর। একই সময়ে নওগাঁ, নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে আবাদি জমি কমেছে প্রায় ৬৪ হাজার হেক্টর।

কৃষিজমি হ্রাসের প্রধান কারণ হলো অপরিকল্পিত আবাসন, ইটভাটা, শিল্প-কারখানা, পুকুর খনন এবং আম বাগান।

 

প্রশাসনের নীরবতা ও অনিয়মের কারণে এসব কার্যক্রম থেমে যাচ্ছে না।

 

জমি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ফসলের উৎপাদন কমছে, কৃষক আর্থিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছেন, এবং খাদ্য সংকটের শঙ্কাও বাড়ছে।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের জাতীয় ভূমি জোনিং প্রকল্প অনুযায়ী, প্রতিদিন প্রায় ২২০ হেক্টর কৃষিজমি হারাচ্ছে। বর্তমানে দেশের মাথাপিছু কৃষিজমির পরিমাণ ১৪ শতাংশ। যদি এ প্রবণতা চলতে থাকে, ২০৫০ সালে এটি মাত্র ৬.২০ শতাংশে নেমে আসবে।

রাজশাহীর তানোর, পবা, গোদাগাড়ী, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল ও নওগাঁর বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ করে নদী ভাঙন এলাকার মানুষ ফসলি জমি কিনে অবৈধভাবে বসতি গড়ে তুলছেন। কয়েক বছরে এক হাজারের বেশি পুকুর খনন ও শতাধিক ইটভাটা তৈরি হয়েছে।

কৃষি জমি সুরক্ষায় ভূমি মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ লাখ টাকার জরিমানা বিধানসহ আইন প্রণয়ন করেছে। তবে বাস্তবে আইন মানা হচ্ছে না, ফলে বরেন্দ্র অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী ধানক্ষেত ও খাদ্যশস্য উৎপাদন হুমকির মুখে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রাজশাহী উপপরিচালক মোসা উম্মে ছালমা বলেন, “পুকুর খনন ও স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করতে প্রশাসন ও বিভিন্ন দপ্তরের সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন। না হলে খাদ্য উৎপাদনে সমস্যা বেড়ে যাবে।


শেয়ার করুন....,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *