
বুড়িচংয়ে অগ্নিকাণ্ডে ১০দোকান
পুড়ে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি
সৌরভ মাহমুদ হারুন, ব্রাহ্মণপাড়াঃ
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বারেশ্বর ফরিদ উদ্দিন ডাক্তার মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।এতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কোটি টাকার অধিক, সম্পূর্ণ মালামাল পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে গেছে।
শুক্রবার ৪ জুলাই রাত সাড়ে ৯টায় বারেশ্বর ফরিদ উদ্দিন ডাক্তার মার্কেটের মাহবুবের ফল দোকান ও আবু খায়েরের গ্যাস সিলিন্ডার দোকানে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের ফলে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়,রাত সাড়ে ৯টার দিকে আগুন লাগার পর মুহূর্তেই আগুনের লেলিহান শিখা মার্কেটের একাধিক দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে বুড়িচং ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিনটি ইউনিট ও স্থানীয়দের ২ ঘন্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) তানভীর হোসেন। খবর পেয়ে ব্রাহ্মণপাড়া থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্থলে পৌঁছে জনতার সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
সরেজমিনে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দোকাদারদের কাছ থেকে জানা যায়,আবু খায়ের ট্রেডার্সে গ্যাস সিলেন্ডার-চুলা-নগদ টাকা সহ প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে, মাসুদ স্টোর খেলা ঘরের মালামাল পুড়ে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে।
মহসিন ট্রেডার্সের ছাত্তার ভূঁইয়া জানায় তার দোকানের ১৫০ বস্তা চাল ও সারসহ প্রায় ৭ লক্ষাধিক টাকা ক্ষতি হয়েছে।সুমন স্টোর দোকান-কোকারিজ, মুদি মালসহ প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে। কামরুল হাসান মেকানিক্যাল ফ্রিজ মেরামত দোকানে ৩ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে।
হাসান ভূঁইয়া ইলেকট্রনিক্স দোকানে মালামাল পুড়ে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা। চন্দন শীলের সেলুন দোকানের ৩ লক্ষ টাকা,মনির হোসেনের হোমিওপ্যাথিক দোকানের ঔষুধ পুড়েছে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার,প্রতিবন্ধী মিজান ও বজলু মিয়ার ইলেকট্রনিক্স দোকানের মালামাল পুড়েছে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা।
মারিয়া খেলা ঘর এন্ড ফ্যাশন এর সত্তাধিকারী মাসুদের দোকানে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা ও ইকবাল কনফেকশনারী ইকবালের দোকান সহ সুমনের ক্রোকারিজ ও ফ্রিজ মেরামতের দোকানে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী , কাউছার নয়নসহ আরো অনেকে জানায়,এই মার্কেটে আগুনে পুড়ে গেছে গ্যাসের দোকান, পাইকারি চাল ও সারের দোকান, খেলা ঘর,ক্রোকারিজ,ইলেকট্রনিক্স সহ প্রায় ১০টি দোকান।এতে এসব দোকানের মালিকদের সরকারের পক্ষ থেকে সহযোগীতা না করলে তারা দোকানে মালামাল তুলতে কষ্টকর হয়েছে।
বুড়িচং ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা কফিল উদ্দিন জানান, তিনটি ইউনিট নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেছি। আগুনে পুড়ে গেছে মার্কেটের ১০টি দোকান, ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে পরে বলা যাবে।
বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হোসেন জানায়,খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি,আগুনে পুড়েছে এমন দোকানগুলো তালিকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রেরণ করা হবে। তিনি এসময় ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহযোগীতা করার আশ্বাস প্রদান করেন।
লাকসাম-মনোহরগঞ্জে বিএনপি সাথে মতবিনিময় করলেন- ড. রশিদ আহমেদ হোসাইনী