
স্বীকৃতি নেই নেই পর্যাপ্ত শিক্ষকও—শিক্ষা কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়েছে প্রতিষ্ঠান
মোস্তাক আহমেদ বাবু, রংপুরঃ
এইচএসসি ২০২৫ সালের পরীক্ষায় রংপুরের পীরগাছা উপ-জেলার কান্দিরহাট স্কুল অ্যান্ড কলেজে অংশ নিয়েছে মাত্র একজন শিক্ষার্থী। তবে হতাশাজনকভাবে, সেই শিক্ষার্থীটিও পাস করতে পারেনি।
শিক্ষাবিদরা বলছেন, এটি শুধু একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নয়, বরং সারাদেশের প্রান্তিক অঞ্চলের শিক্ষাব্যবস্থার নীরব বিপর্যয়ের প্রতিচ্ছবি।
প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ধরে সরকারি স্বীকৃতি না পাওয়ায় শিক্ষার্থী ভর্তির হার আশঙ্কাজনকভাবে কমেছে।
অন্যদিকে, শিক্ষকরা নিয়মিত বেতন না পাওয়ায় মানসম্মত পাঠদান বিঘ্নিত হচ্ছে। ফলে প্রতিষ্ঠানটি কার্যত ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।
স্থানীয় এক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,-স্বীকৃতি নেই, শিক্ষার্থী নেই, আর শিক্ষকদের তো বেতনই নেই। এভাবে কোনো প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না।”
পীরগাছা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ মো. রাসেল এ বিষয়ে বলেন—”সরকার এখন মানসম্পন্ন শিক্ষার ওপর জোর দিচ্ছে। আগের মতো গণহারে পাসের দিন শেষ। তবে যেসব প্রতিষ্ঠান পিছিয়ে পড়ছে, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।”
শিক্ষাব্যবস্থায় দুরবস্থার ইঙ্গিত: দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে এবার এইচএসসি পাসের হার মাত্র ৫৭.৫ শতাংশ, যেখানে ৪৩টি কলেজে কেউই পাস করেনি। কান্দিরহাট স্কুল অ্যান্ড কলেজের ফলাফল সেই ভয়াবহ চিত্রেরই একটি প্রতিফলন।
করণীয় কী ?: বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন সংকট উত্তরণে প্রয়োজন অবিলম্বে স্বীকৃতি প্রদান শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন নিশ্চিতকরণ নিয়মিত শ্রেণি কার্যক্রমে জোর প্রশাসনিক তদারকি বাড়ানো স্থানীয় জনগণের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি।