রায়পুরে একই পরিবারের ৫ জনকে কুপিয়ে জখম ভাংচুর-লুটপাট

আইন আদালত চট্টগ্রাম জাতীয় দুর্ঘটনা রাজনীতি সারাদেশ
শেয়ার করুন....,

রায়পুরে একই পরিবারের ৫ জনকে কুপিয়ে জখম ভাংচুর-লুটপাট

 

তাবারক হোসেন আজাদ, লক্ষ্মীপুরঃ

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে একই পরিবারের শিশু ও নারীসহ পাঁচজনকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে।

এসময় বসতঘরে ভেতরে আসবাবপত্র ভাংচুর এবং নগদ টাকা-স্বর্ণালংকার সহ তিন লক্ষ টাকার মালামাল লুটপাট চালানো হয়। ফের প্রতিপক্ষের হামলার ভয়ে পরিবার নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন দিনমজুর শাহজাহান রাড়ী।

শুক্রবার রাতে উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের মদিনা বাজার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

প্রতিপক্ষের এ হামলার ঘটনায় আহতরা হলেন- দিনমজুর শাহজাহান রাড়ী, আবদুর রহিম, রহিমা বেগম, লাকি বেগম ও সাথি আক্তার। তাদের মধ্যে শাহজাহান রাড়ী (৩৬) কে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) ভুক্তভোগীর পরিবার জানান, দীর্ঘদিন ধরে মদিনা বাজার এলাকায় মাঝি বাড়ীর ফারুক মাঝির পরিবারের সঙ্গে প্রতিবেশী দিনমজুর শাহজাহান রাড়ীর জমি নিয়ে বিরোধ চলছিলো।

এ নিয়ে এলাকায় বেশ কয়েকবার সালিশী বৈঠকও বসে। কিন্তু ফারুখ মাঝির কারনে কোনো সমাধান হয়নি।

ঘটনার দিন বিরোধকৃত ওই জমি থেকে ফারুখ মাঝি তার সশস্র লোকজন নিয়ে সুপারি পারে।

এসময় বাঁধা দিলে নিরিহ শাহজাহান রাড়ী ও তার পরিবারের উপর হামলা চালায় ফারুখসহ তার লোকজন।

কুপিয়ে জখম করা হয় একই পরিবারের শিশু ও নারীসহ পাঁচজনকে।

আহতদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান।

পরে আহতদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলে শাহজাহান রাড়ীকে রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেলে।

এঘটনায় শাহজাহান রাড়ী বাদি হয়ে ফারুখ মাজি সহ ৮জনকে আসামিকরে মামলা করেন।

এবিষয়ে অভিযুক্ত ফারুক মাঝি (৩৫) বলেন-প্রায় ৩০ বছর আগে ১৯ শতাংশ জমি আবদুল আজিজ রাড়ীর কাছ থেকে কেনেন আবদুল গফুর মাঝি। এই জমির বিরোধ নিয়ে স্থানীয় ভাবে ৮বার শালিশ হয়। ১৬ শতাংশ জমি বুঝে পেলেও তিন শতাংশ বুঝে পায়নি আমরা।

ঘটনার দিন ওই জমি থেকে সুপারি পারতে গেলে শাহজাহান রাড়ী বাঁধা দেন। এতে উভয় পক্ষে মারামারি হয় ও ৭-৮ জন আহত হয়েছে।

রায়পুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) আবদুল মান্নান জানান, রক্তাক্ত জখম শিশু ও নারীসহ শাহজাহান রাড়ী আমাদের কাছে আসলে চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল পাঠানো হয়।

অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনের আওতায় আনতে সব ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে পুলিশ।


শেয়ার করুন....,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *