কুড়িগ্রামে মাদরাসায় নৈশপ্রহরী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

আইন আদালত জাতীয় রংপুর সারাদেশ
শেয়ার করুন....,

কুড়িগ্রামে মাদরাসায় নৈশপ্রহরী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

মোঃ এনামুল হক বিপ্লব, কুড়িগ্রামঃ

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার পাঁচপীর কেরামতিয়া দ্বিমুখী আলিম মাদ্রাসায় মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে নিয়ম বহিভূর্তভাবে নিয়োগের নামে বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।

 

এলাকাবাসীর অভিযোগ একই পরিবারের চার জনকে প্রায় কোটি টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে চাকুরী প্রদানে তড়িঘড়ি করছেন।

 

উলিপুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা সাদ্দাম হোসেন চৌধুরী বলেন, আব্দুল মজিদ অত্র প্রতিষ্ঠানের নৈশ প্রহরী থেকে টাকার বিনিময়ে অফিস সহকারী পদে অবৈধভাবে নিয়োগ নেন।

এছাড়া একই পরিবারে টাকার বিনিময়ে  ৪ জনসহ মোট ৬ টি নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।

এছাড়া তিনি দুর্গাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ২ নং ওয়ার্ডের ৪৫ নং সদস্য হিসেবে থেকেও যেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও টাকার যোগান ভান্ডার হিসেবে কাজ করেছেন।

 

এছাড়া দুর্গাপুর ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দা খায়রুল ইসলাম জানাান আমি নিজে অভিভাবক সদস্য হয়েও প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ প্রক্রিয়া কিভাবে সম্পূর্ণ হল তা জানিনা।

আরো অভিযোগ করেন প্রতিষ্ঠানের আব্দুল মজিদ অফিস সহায়ক পদে অবৈধভাবে চাকুরীতে যোগদানের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেন।

 

এছাড়া তাঁর নিজ মেয়ে মমতা বেগমকে ১৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে হিসাব রক্ষক পদে চাকরি নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন।

এলাকাবাসীর পক্ষে শাহ আলম বলেন আব্দুল মজিদের  আপন ভাতিজা রাকিব হোসেনকে ১২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে হিসাব সরকারি পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করেন।

এছাড়া আব্দুল মজিদের ভাতিজা বউ সোমা আক্তারকে  আয়া পদে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চাকুরী প্রদান করা হয়।

এছাড়াও এলাকাবাসীর অভিযোগ রয়েছে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ পদে আহাম্মদ আলীকে ১৬ লক্ষ টাকার বিনিময়ে একইভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করান বলে অভিযোগ রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর এবং আজ্ঞাবাহক হিসাবে আহাম্মদ আলী বিভিন্ন ভাবে কাজ করে গেছেন।

যার বিরুদ্ধে গত সংসদ নির্বাচনে অবৈধভাবে ভোট গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে।

এছাড়া উলিপুর উপজেলার ধরণীবাড়ি ইউনিয়নের হরিফিয়া দাখিল মাদরাসার বিভিন্ন অনিয়ম ও প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ তার বিরুদ্ধে রয়েছে।

এবিষয়ে অত্র প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইলিয়াছুর রহমানের মুঠো ফোনে কল দিয়ে  যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

 

এবিষয়ে উলিপুর উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবু সাঈদ আব্দুল ওয়াহিদ জানান নিয়োগ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।এছাড়া আমি নিয়োগ বোর্ডের সদস্য না,কোন তথ্য আমার জানা নেই।


শেয়ার করুন....,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *