
লালমাইয়ে জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তাসহ ওসির নিকট দাবিপত্র জমা
লালমাই প্রতিনিধি
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদিকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় সারাদেশে ক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় কুমিল্লার লালমাই উপজেলায় “জুলাই ঐক্য”-এর উদ্যোগে উত্তাল বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিক্ষোভ শেষে লালমাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নুরুজ্জামানের নিকট পাঁচ দফা দাবিসম্বলিত কঠোর দাবিপত্র জমা দেওয়া হয়।
দাবিপত্রে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী রাষ্ট্রীয় প্রশ্রয়ে দেশজুড়ে হত্যা ও নৈরাজ্য চালাচ্ছে, যার সর্বশেষ শিকার ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি।
অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
দাবিগুলো হলো—ঃ
১. আওয়ামী লীগের সকল চিহ্নিত সন্ত্রাসীকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করতে হবে।
২. অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হত্যাকারীদের পক্ষে উসকানি, হুমকি ও প্রপাগান্ডা চালানো ব্যক্তিদের দ্রুত শনাক্ত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করতে হবে।
৩. জুলাই যোদ্ধা ও আন্দোলনকর্মীদের জান-মালের পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
৪. কথিত ‘ডেভিল হান্ট’ অভিযানের নামে লোক দেখানো নয়—আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দৃশ্যমান ও কার্যকর অভিযান পরিচালনা করতে হবে।
৫. লালমাই উপজেলাসহ আশপাশের এলাকা থেকে সকল অবৈধ অস্ত্র অবিলম্বে উদ্ধার করতে হবে।
দাবিপত্রে আরও জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে লালমাই থেকে শুরু করে বৃহত্তর কুমিল্লা জেলায় কঠোর ও লাগাতার আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে, যার দায়ভার প্রশাসনকেই নিতে হবে।
বক্তারা বলেন, “ওসমান হাদি কোনো ব্যক্তি নয়, তিনি একটি প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর। তাকে হত্যা করে আন্দোলন থামানো যাবে না। এই হত্যার বিচার না হলে জনগণই বিচার নিশ্চিত করবে।”
উল্লেখ্য, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে লালমাই উপজেলায় দিনভর বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয়।