গৌরীপুরে বিএনপির ২৪ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার ও মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

আইন আদালত জাতীয় ময়মনসিংহ রাজনীতি সারাদেশ
শেয়ার করুন....,

গৌরীপুরে বিএনপির ২৪ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার ও মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

মোঃ হুমায়ুন কবির, গৌরীপুরঃ
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) গৌরীপুর উপজেলা শাখার আহ্বায়ক সদ্য বহিষ্কৃত আহাম্মদ তায়েবুর রহমান হিরণসহ ২৪ জন নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার এবং ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনের মনোনয়ন পুনঃমূল্যায়নের দাবি জানানো হয়েছে।
এ দাবিতে ৪ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) বিকাল ৫টায় কালিখলায় বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ১৪৫ জন জনপ্রতিনিধি স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গৌরীপুর পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আরিফুল ইসলাম ভুয়াঁ এনাম।
তিনি বলেন, গত ৩ নভেম্বর ২০২৫ ইঞ্জিনিয়ার এম ইকবাল হোসেইনকে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করা হলে উপজেলার সর্বস্তরের বিএনপি নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ তা মেনে নিতে পারেনি।
ঘোষণার পরপরই গৌরীপুর পৌর শহর ও বিভিন্ন এলাকার নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল, প্রতীকী টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ, প্রতীকী সড়ক অবরোধ, ট্রেন আটকানো এবং অটো–টেম্পু শ্রমিকদের অর্ধদিবস কর্মবিরতিসহ নানা কর্মসূচি পালন করেন।
লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়—প্রাথমিক মনোনয়ন ঘোষণার পর ইঞ্জিনিয়ার এম ইকবাল হোসেইন স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে কোনো সৌজন্যমূলক যোগাযোগ রাখেননি, এমনকি অস্থায়ী দলীয় কার্যালয়েও আসেননি। বরং তিনি ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের অনুষ্ঠানে প্রথমবার জনসম্মুখে এসে আন্দোলন যাতে ভিন্নখাতে না যায় সে আহ্বান জানান এবং নারীদের নিয়ে ৯ নভেম্বর নারী সমাবেশের ঘোষণা করেন।
কিন্তু ওই ৯ নভেম্বর উপজেলা ও পৌর বিএনপি আয়োজিত নারী সমাবেশে ইকবালপন্থী সন্ত্রাসীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন নেতারা।
এ হামলায় নারীদের শ্লীলতাহানি, শারীরিক নির্যাতনসহ নেতাকর্মীদের বাসা-বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর ঘটনা ঘটে। হিরণের সহধর্মিণী সাইদা মাশরুরও গুরুতরভাবে আহত হন।
একইদিন ছাত্রদলের এক কর্মী স্ট্রোক করে মারা গেলে ঘটনাটি হত্যাকাণ্ড হিসেবে গুজব ছড়িয়ে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হয় বলেও অভিযোগ করা হয়।
এ অবস্থায় যথাযথ তদন্ত ছাড়াই ৯ নভেম্বর রাতে হিরণসহ ৫ জন এবং পরবর্তীতে আরও ১৯ জন ছাত্রদল নেতাকে বহিষ্কার করা হয়—যা নেতারা পূর্বপরিকল্পিত বলে দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়—আহাম্মদ তায়েবুর রহমান হিরণ বিগত ১৭ বছর ধরে আওয়ামী সরকারের নিপীড়নের শিকার, আন্দোলনের ফ্রন্টলাইনে ছিলেন, অসংখ্য মামলার আসামি হয়ে দীর্ঘ সময় কারাভোগ করেছেন এবং তাঁর বাড়িঘর ভাঙচুর–অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে। তাঁর ভাই রিয়াদুজ্জামান রিয়াদ রাজনৈতিক মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে এখনো কারারুদ্ধ।
নেতারা দাবি জানান—মনোনয়ন পুনর্মূল্যায়ন করে হিরণকে চূড়ান্ত প্রার্থী মনোনয়ন দিলে বিএনপি নিশ্চিতভাবে ১৪৭, ময়মনসিংহ-৩ আসনটি ফিরে পাবে।
৩ নভেম্বর সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা ঘিরে দফায় দফায় বিক্ষোভ, ৭ নভেম্বর নারীদের সমাবেশ ঘোষণা, ৯ নভেম্বর হামলার অভিযোগে উপজেলা পৌরসভাসহ ১০ ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধরা সংবাদ সম্মেলন করেন।
সম্মেলনে দলের কেন্দ্রয়ী সিদ্ধান্ত পুনর্মূল্যায়নের আহ্বান জানানো হয়।সংবাদ সম্মেলনে বর্তমান ও সাবেক জনপ্রতিনিধিসহ বিএনপির অঙ্গ-সংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন....,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *