
বুড়িচংয়ে প্রবাসীর স্ত্রী হত্যাকান্ডের
বিচার দাবিতে মানববন্ধন
সৌরভ মাহমুদ হারুন, ব্রাহ্মণপাড়াঃ
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ গ্রামে প্রবাসীর স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম নয়ন হত্যা কান্ডের সঙ্গে জড়িত সকল আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি, মাদক সন্ত্রাস দমনের দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে এলাকাবাসী।
রোববার বিকেলে ৬ জুলাই কুমিল্লা – সালদা সড়কের বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়ন এর দক্ষিণ গ্রাম বাজারে সর্বস্তরের এলাকাবাসী সড়কে দেড় ঘন্টা ব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করা হয়েছে।
এসময় এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন।মানববন্ধনে বক্তারা হত্যা মামলা আসামি নূরজাহান বেগম,আনোয়ার হোসেন,রুবেল আহমেদ মিন্টু ও মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন জিল্লুর
ফাঁসি ও জড়িতদের তদন্তপূর্বক গ্রেপ্তারসহ এলাকার মাদক প্রতিরোধ করার দাবি তুলে ধরেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নিহত ফেরদৌসী বেগমের পরিবারের পক্ষ থেকে স্বামী শামসুল আলম,দেবর আলমগীর হোসেন, প্রবাসী পুত্র ইকরাম হোসেন উপজেলা , জামায়াতে ইসলামির সাবেক আমীর ও জেলা সূরা সদস্য এডভোকেট অধ্যাপক মো.আবদুল আওয়াল, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সমাজসেবক নোয়াব মিয়া মাস্টার, বিএনপি নেতা আবদুল হান্নান, মো.মফিজুল ইসলাম মাস্টার, এ কে এম আনোয়ার হোসেন স্বজন, ইউপি সদস্য বাবুল বেগ, ডাক্তার সাইফুল ইসলাম শাহীন, ডাক্তার হাবিবুর রহমান, সিদ্দিকুর রহমান, হাজী খোরশেদ আলম, মো. সেলিম চৌধুরী, ফারুক মাস্টার, আবু কাউসার, সাবেক মেম্বার শাহীন আলম, ছাত্রদল নেতা জালাল উদ্দীন খান, নিজাম উদ্দিন, মো.শামীম উসমান, জাতীয় নাগরিক পাটি নেতা মো.সোহেল রানা, মো.মোজাম্মেল হক, সোহাগ মিয়া, সাইফুল আলম তুহিনসহ প্রায় এক হাজার অধিক গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন ও সার্বিক আয়োজন এবং পরিচালনায় ছিলেন লোকমান হোসেন ও মো.কামরুল হাসান।
উল্লেখ্য,উপজেলার দক্ষিণগ্রাম সৌদি প্রবাসী সামছুল আলমের স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম গত ২৭ জুন নিখোঁজ হন। চারদিন পর ১ জুলাই দেবরের পরিত্যক্ত বাথরুমের সেপট্রিক ট্যাংক থেকে ফেরদৌসীর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে ইকরামুল হাসান বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে তদন্ত করে পুলিশ।পুলিশ জানায়,জায়গা-জমি নিয়ে ফেরদৌসী বেগমের সঙ্গে জা নুরজাহান বেগমের বিরোধ চলছিল। সেই বিরোধের জের ধরে নুরজাহান বেগম পার্শ্ববর্তী এলাকার মাদকসেবী আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে দুই লাখ টাকায় হত্যা চুক্তি করেন।
আনোয়ার এই হত্যাকাণ্ডে রুবেল আহমেদ মিঠু ও মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন জিল্লুকে যুক্ত করে।হত্যার পর ফেরদৌসীর স্বর্ণের গহনা শংকুচাইল বাজারে নন্দিতা জুয়েলার্সে বিক্রি করে দেয় হত্যাকারীরা।
পুলিশ সেই স্বর্ণ উদ্ধার করেন এবং ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেন। তারা হলেন জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী নুরজাহান বেগম (৫০), মো.সোলাইমান ওরফে তনু মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩০), মমতাজ উদ্দিন মন্তাজের ছেলে রুবেল আহমেদ মিঠু (৩১) এবং মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন জিল্লু (২৭)।
মিরপুরে গৃহবধূকে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন