
রাজারহাটে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের অভিযোগ
মোঃ এনামুল হক বিপ্লব, কুড়িগ্রামঃ
রাজারহাট উপজেলার নাজিম খান ইউনিয়ন মল্লিক বেগ পয়ধর গ্ৰামের সাংবাদিক মোঃ এনামুল হক বিপ্লবকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে একই গ্ৰামের শাহেমা নামের এক নারী।
এলাকায় গিয়ে জানা যায়, মল্লিক বেগ পয়ধর গ্ৰামের মোঃ ফারুক হোসেন এর বিবাহিত স্ত্রী শাহেমা (৪৮)বেগম। তার সংসারের মধ্যে দেড়-বছর ধরে ঝগড়া ঝাটি চলছিলো।
ঝগড়া লাগানো কারন তার স্বামী ফারুক হোসেন তার নিজ বড় ছেলের শ্বাশুড়িকে বড় স্ত্রী শাহেমার অবর্তমানে বিবাহ করেন।এই ঘটনা পর থেকে তাদের দুজনের মধ্যে ঝগড়া লেগেই ছিল।
এর ই মধ্যে হঠাৎ করে ফারুক হোসেন তার ছোট বৌকে ঢাকা থেকে তার মায়ের কাছে নিয়ে আসেন।
সেখানে দু-তিন দিন রাখার পর ফারুক তার দ্বিতীয় স্ত্রী কে নিয়ে নাজিম খান বাজারে একটি বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে সেখানে সংসার করছে বলে জানা যায়।
এর মধ্যে শাহেমা বেগম স্থানীয় সাংবাদিক মোঃ এনামুল হক বিপ্লবের বাড়িতে যান এবং তার সাথে দেখা করেন।দেখা করে বলেন ফারুক এর ছোটো বৌকে নিয়ে একটি অসামাজিক ছবি এডিট করতে বলেন। যাহা এনামুল হক বিপ্লব গোপনে ভিডিও চিত্র ধারণ করে।
তখন সাংবাদিক এনামুল হক বিপ্লব তাকে জিজ্ঞাসা করে কি করতে হবে বলেন। তখন শাহেমা বেগম তার নিজ ছোটো ছেলের ফোন থেকে হোয়াটসঅ্যাপ এর মাধ্যমে সাংবাদিক এনামুল হক বিপ্লবের হোয়াটসঅ্যাপসে শাহেমা বেগম তার সতিনের ছবি এবং তাঁর স্বামী ফারুকের ছবি পাঠিয়ে দেন।
এবং এই ছবি দিয়ে অশ্লীল ছবি তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ এর মাধ্যমে ফেক আইডি খুলে পোষ্ট করার জন্য বলা হয়। যাতে করে এই ভিডিও বা বাজে ছবি ফারুকের নজরে আসে, ফারুক এই সব দেখার পর যেনো তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী কে ছেড়ে দেয় এবং ডিভোর্স প্রদান করে।
শুধু ফারুককে নয় তার বাড়ির সাথে মজিদা বেগমের স্বামী ভ্যানচালক রফিকুল ইসলাম কেও এই গুলো দেখাতে বলেন যার প্রমাণ শাহেমার কল রেকর্ডের মাধ্যমে জানা যায়।
তখন সাংবাদিক এনামুল হক বলেন এই কাজ করলে আপনার উপর এবং সংসার ও ভাংঙ্গতে পারে।তার পর ও শাহেমা বেগম তার কথা না শুনে বার বার তাকে ফোনে বিরক্ত করা সহ তাঁর বাড়িতে আসে এবং সেই কাজ গুলো করার জন্য বিভিন্ন পথ বেছে নেন।
তখন সাংবাদিক এনামুল শাহেমার স্বামী ফারুকের কাছে কথা সহ ভিডিও গুলো প্রকাশ করে এবং তার স্ত্রীর প্রতি নজর রাখার পরামর্শ দেন।
তখন থেকেই সাংবাদিক এনামুলের উপর নানা রকম মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আসছেন এই মহিলা।
যার ভিড়িও ও কল রেকর্ডের মাধ্যমে বুঝতে পারা যায়।
ওই গ্ৰামের রফিকুল ইসলাম পাওয়ার যিনি মিটিংয়ের উপস্থিত ছিলেন, এবং সেই রফিকুল ইসলাম পাওয়ার বলেন, আমরা সাংবাদিক এনামুল হক বিপ্লবের উপর অবিচার করেছি।
সে যে জ্বিনের বাদশা বা ব্লাকমেইল করে টাকা নেওয়ার প্রমাণ পাওয়া যাইনি।
আর এখন যে শাহেমা বেগম গ্ৰামের বিচার শালিস অমান্য করে মিথ্যা মামলাসহ নিউজ করেছেন তা আমরা শাহেমা এবং তার ভাই রাহেনুলকে নিয়ে বসবো বলে জানান।
এলাকাবাসী জানান,এনামুল হক বিপ্লব কে তাঁরা ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। এগুলো সব মিথ্যা এর নতুন করে বিচার করা দরকার।
এবং শাহেমার নিজ বড় ছেলে মোঃ শাহজাহান আলী বলেন আমি আমার মায়ের পক্ষে বা আমার বাবার পক্ষেও না আমি একজন গ্ৰামের লোক হিসেবে বলি এগুলা সব সাজানো নাটক কারণ সাংবাদিক এনামুল হক কে ফাঁসানোর জন্য এই কাজ গুলো করতেছে আমার মা।এই ধরনের কোনো টাকা লেনদেন করেন নি সাংবাদিকের সাথে এটা একটা মিথ্যা অপবাদ।