টাঙ্গাইলে মাভাবিপ্রবি’তে সেশনজট নিরসনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন 

আইন আদালত জাতীয় ঢাকা রাজনীতি শিক্ষা সারাদেশ
শেয়ার করুন....,

টাঙ্গাইলে মাভাবিপ্রবি’তে সেশনজট নিরসনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন 

আবু রায়হান, টাঙ্গাইলঃ

টাংগাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(মাভাবিপ্রবি) ভেটেরিনারি মেডিসিন এন্ড এ্যানিমেল সায়েন্স অনুষদের শিক্ষার্থীরা সেশনজট নিরসনে অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে সেমিস্টারের মেয়াদকাল সর্বসাকুল্যে ৪ মাস করার দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন।

২৫ অক্টোবর (শনিবার) সকাল ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তারা।

এসময় তারা বিভিন্ন প্লেকার্ড যেমন: মোদের দাবি একটাই ৪ মাসে সেমিস্টার চাই, ডিগ্রি নিতে দশ বছর চাকরি নিব কোন বছর, এক দফা এক দাবি ৪মাসে সেমিস্টার দিবি, সেশনজটে পুড়ছে প্রাণ এবার চাই সমাধান ইত্যাদি টাঙিয়ে রাখেন।

আরো পড়ুনঃ

মুরাদনগরে বদিউল আলম ডিগ্রী কলেজে অভিভাবক সমাবেশ

পরবর্তীতে দুপুর ১টায় ভাইস-চ্যান্সেলরের সাথে মিটিং শেষে বিকাল ৪টা থেকে আমরণ অনশন বসেছেন তারা।

ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থী মো. নাঈম মিয়া বলেন, ভেটেরিনারি অনুষদের সেশনজট নিরসনে সেমিস্টার সময়কাল ৪ মাসে করার জন্য গত ১২ই অক্টোবর আমরা মাননীয় ভিসি স্যার বরাবর স্মারকলিপি জমা দেই।

পরবর্তীতে একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে আমরা জানাই ২৪ তারিখের মধ্যে আমাদের দাবি না মানা হলে ২৫ তারিখ থেকে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থীরা আজকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান করছি।

দুপুরের পর ভিসি স্যারের সাথে মিটিংয়ে আমাদের দাবি না মানায় আমরা আমরণ অনশন কর্মসূচিতে বসেছি। শিক্ষার্থীদের অনশন ও তাদের দাবি সম্পর্কে জানতে ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন, ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা তাদের দাবির প্রতি যথেষ্ঠ নমনীয়। আমরা প্রায় ২ ঘন্টা তাদের সাথে আলোচনা করেছি। সব কিছু তাদের বুঝিয়ে দিয়েছি। আমরা ভাবতে পারি নি তারা অনশনে বসবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন বিষয় সিদ্ধান্ত নিতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মেনে আমাদের কাজ করতে হয়। আমরা বিষয়টি আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করেছি।

এর আগে গত ১২ অক্টোবর ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে সেশনজট নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সময়সীমা বেধে দেন শিক্ষার্থীরা।


শেয়ার করুন....,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *