ট্রাফিক বক্সের সামনে কাঁদছিল কিশোরী- বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করেছে কনস্টেবল

আইন আদালত জাতীয় ঢাকা সারাদেশ
শেয়ার করুন....,

২২ অক্টোবর বুধবার কলাবাগানে পুলিশ বক্সের সামনে কাঁদতে থাকা এক কিশোরীকে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় নিজ বাসায় নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে উঠেছে একজন ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করেছে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানা-পুলিশ। এরপর আজ সকালে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এই বিষয়ে বন্দর থানার ওসি লিয়াকত আলী বলেন, আমরা তাকে রাতে আমাদের হাতে পেয়েছি। কারাগারে যাওয়া মো. রুহুল আমিন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ধানমন্ডি ট্রাফিক ডিভিশনে কর্মরত ছিলেন। ৪১ বছর বয়সী রুহুল মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ির শেখ সাদির ছেলে।

তিনি বন্দর উপজেলার রুপালি আবাসিক এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন।

ওসি লিয়াকত আলী বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় শহরের চাষাঢ়া থেকে ওই কনস্টেবল আটক হন। তার সঙ্গে মেয়েটিও ছিল।

 

পরে মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে তাকে সদর মডেল থানা থেকে বন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়।

জানা গেছে, ভুক্তভোগী ১২ বছরের মেয়েটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন। শিশুটির বাড়ি মাদারীপুর জেলায়। সে ঢাকার কলাবাগানে একটি বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করত। সকালে ওই কিশোরীর চাচা ধর্ষণের অভিযোগে বন্দর থানায় মামলা করেছেন।

মামলা ও প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, সোমবার দুপুরে কলাবাগান পুলিশ বক্সের সামনে কান্না করছিল মেয়েটি।

 

এ সময় পুলিশ বক্সে দায়িত্বরত ছিলেন কনস্টেবল রুহুল আমিন। তিনি ওই কিশোরীকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের বন্দরে নিজ বাসায় যান। সেখানে ধর্ষণ করে।

 

পরে মেয়েটিকে নিয়ে ঢাকার দিকে আবার ফির ছিলেন তিনি। পথে চাষাঢ়ায় মেয়েটি কান্নাকাটি করলে লোকজনের সন্দেহ হয় এবং থানায় খবর দেয়


শেয়ার করুন....,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *