
জুলাই আন্দোলনে শহীদ শিহাবের
লাশ উত্তোলন করতে দেননি পরিবার
ভোলা প্রতিনিধিঃ
ঢাকায় জুলাই আন্দোলনে শহীদ ভোলার লালমোহনের মুফতি শিহাবের লাশ কবর থেকে উঠাতে দেয়নি পরিবার। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা থেকে সিআইডি ও পুলিশের যৌথ টিম আদালতের নির্দেশ নিয়ে লালমোহন আসেন।
দুপুর ১টার দিকে প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট লালমোহন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাজ আজিজসহ লাশ উত্তোলন করতে যান যান।
এসময় শহীদ মুফতি শিহাবের বাবা খলিল রদ্দি ও ভাইয়েরা লাশ উত্তোলন করতে দেননি।
লালমোহন কালমা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের লেজ ছকিনা গ্রামের রদ্দি বাড়ির মুফতি শিহাব উদ্দিন ছিলেন বেফাকের সাবেক কর্মকর্তা।
এছাড়া তিনি যাত্রাবাড়ি একটি মসজিদের খাদেমও ছিলেন। চব্বিশের ১৯ আগস্ট যাত্রাবাড়ি এলাকায় গুলিতে শহীদ হন শিহাব উদ্দিন।
শিহাবের বাবা খলিল রদ্দি জানান, ২৪ এর জুলাই-আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ হন শিহাব উদ্দিন। পরে তার মরদেহ বাড়িতে এনে দাফন করা হয়। মৃত্যুর পর কবর থেকে লাশ উঠানোর নিয়ম ইসলামে নেই। তাই তারা লাশ উঠাতে আগ্রহী নন।
তাছাড়া পরিবার থেকে কেউ মামলাও করেনি বলে তিনি জানান। তার বন্ধু পরিচয়ে একজন এই্ মামলা করেছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ি থানার এসআই রিয়াজ হোসেন জানান, জুলাই-আগস্টের ঘটনায় শিহাবের পক্ষ হয়ে রফিক পাটোয়ারী নামে একজন মামলা করেছে। তার বাড়ি চাঁদপুর। ওই মামলার পর আদালত থেকে লাশ উত্তোলন করার আদেশ দেওয়া হয়। আদেশের কপি নিয়ে তারা বৃহস্পতিবার লালমোহন আসেন।
ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে লাশ উত্তোলন করতে গেলে পরিবার আপত্তি জানায়। যার কারণে তারা ফেরত যাচ্ছেন।
লালমোহন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহ আজিজ জানান, আদালত থেকে জেলা ম্যাজিস্টেটের কাছে লাশ উত্তোলনের জন্য নির্দেশ আসে।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এর পক্ষ থেকে তিনি লাশ উত্তোলন করতে যান। পরিবার আপত্তি জানানোর কারণে লাশ উত্তোলন করা হয়নি। এবিষয়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে অবহিত করা হয়েছে।