চৌদ্দগ্রামে শিক্ষার্থীদের লাগানো সরকারি গাছ কেটে ফেললেন শিক্ষক

অর্থনীতি আইন আদালত কুমিল্লা চট্টগ্রাম জাতীয় দুর্ঘটনা শিক্ষা সারাদেশ
শেয়ার করুন....,

চৌদ্দগ্রামে শিক্ষার্থীদের লাগানো সরকারি গাছ কেটে ফেললেন শিক্ষক

চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধিঃ

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম পৌর প্রশাসনের উদ্যোগে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের লাগানো সরকারি গাছ কেটে ও তুলে ফেলে দিয়েছে জাফর আহমেদ নামের এক ব্যক্তি।

তিনি পৌর এরাকার নবগ্রামের মৃত হাজী ইমান আলীর ছেলে ও কুমিল্লা বিমানবন্দর এলাকার নেওড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজী শিক্ষক।

নবগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এ ঘটনা ঘটে। রোববার রাতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রওশন আরা বেগম বাদি হয়ে থানায় জাফর আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে।

স্থানীয় সূত্র ও থানায় দায়েরকৃত অভিযোগে জানা গেছে, বৃক্ষরোপন কর্মসূচি-২০২৫ এর আওতায় পৌর প্রশাসনের দেয়া ১২টি গাছের চারা গত বৃহস্পতিবার নবগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের দ্বারা বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে রোপন করা হয়। প্রতিটি গাছের সাথে খুঁটি ও শিক্ষার্থীদের নেমপ্লেট বেঁধে দেয়া হয়।

শনিবার সরকারি ভাবে বিদ্যালয় বন্ধ ছিল। সে সুযোগে একই গ্রামের মৃত হাজী ইমান আলী মজুমদারের ছেলে জাফর আহমেদ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে শিক্ষার্থীদের রোপিত গাছের চারাগুলো কিছু কেটে ফেলে এবং কিছু তুলে ফেলে দেয়।

স্থানীয়রা অনেকেই বিষয়টি প্রত্যক্ষ করে। পরের দিন রোববার সকালে বিদ্যালয় গিয়ে প্রধান শিক্ষক রওশন আরা বেগম গাছ কাটা অবস্থায় দেখে এবং ঘটনার বিস্তারিত শুনে। গাছের চারাগুলো কেটে এবং তুলে ফেলায় কোমলমতি শিশুরা মানসিকভাবে আঘাত পেয়েছে এবং পরিবেশেরও ক্ষতি হয়েছে।

খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। স্থানীয়রা আরও জানায়, জাফর আহমেদ বিদ্যালয়ের সরকারি জায়গা নিজের মালিকানা দাবি করে এই ধ্বংসযজ্ঞ কাজ করেছে।

প্রধান শিক্ষিকা বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদেরকে অবহিত করায় উল্টো তাকে প্রাণনাশসহ বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি ধমকি প্রদর্শন করে। এ ঘটনায় রোববার বিকেলে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছে।

এছাড়াও রাতে প্রধান শিক্ষক রওশন আরা বেগম বাদি হয়ে থানায় জাফর আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে।

সোমবার জাফর আহমেদ গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, ‘আমার ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গায় গাছ লাগিয়েছিল, তাই কেটে ফেলা হয়েছে। ওই জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে’।

চৌদ্দগ্রাম থানার সেকেন্ড অফিসার সানা উল্লাহ সোমবার বিকেলে বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।


শেয়ার করুন....,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *