
ব্রাহ্মণপাড়ায় অপ্রপচারের প্রতিবাদে
বিএনপি নেতার সংবাদ সম্মেলন
সৌরভ মাহমুদ হারুন, ব্রাহ্মণপাড়াঃ
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, বিএনপি নেতা অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া আদালত অবমাননার মতো কাজ করেছেন।
নির্বাচন কমিশনের আসন পুনঃনির্ধারণ সংক্রান্ত আদালতের বক্তব্যকে তিনি বাইরে এসে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করেছেন, যা আদালত অবমাননার শামিল।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে কুমিল্লা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, গত ২৪ আগস্ট নির্বাচন কমিশনের আসন পুনঃনির্ধারণ সংক্রান্ত আপিল শুনানিতে দাউদকান্দি, হোমনা, মেঘনা ও তিতাসের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় বিএনপি নেতা অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।
কিন্তু পরদিন ২৫ আগস্ট কুমিল্লা টাউন হল মাঠে আদর্শ সদর উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে তিনি সেই বক্তব্য বিকৃতভাবে প্রচার করে বলেন, ব্যারিস্টার আল-মামুন আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী।
ব্যরিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, আখাউড়া থেকে বিবির বাজার পর্যন্ত সীমান্তের নিয়ন্ত্রণকারীদের বিরুদ্ধে বলায় আমার বিরুদ্ধে বিষোদগার করা হচ্ছে।
বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়ার ২০হাজার তরুণ মাদকে ধ্বংস হয়ে গেছে। তারা ডাক্তার প্রফেসর হতে পারতো। দেশের মুখ উজ্জ্বল করতো পারতো। তাদেরকে নষ্ট করেছে কিছু মাদক ব্যবসায়ী।
তাদেও ইন্ধনে হয়তো তিনি আমার বিরুদ্ধে বলেছেন। বিনয়ের সাথে বলি- তিনি সম্মানিত মানুষ, তার সম্মানহানি করা আমার উদ্দেশ্য নয়। অনেক আইনজীবী বলেছেন,মানহানি মামলা করবেন। আমি তাদের বিরত রেখেছি। আমরা এসব দ্বন্দ্বে যেতে চাই না।
তিনি বলেছেন-আমি নাকি বলেছি ২০১৮সালে ভালো নির্বাচন হয়েছে বলে বক্তব্য দিয়েছি। নির্বাচন কমিশনে আইনজীবী হিসেবি দেয়া সেই বক্তব্যের রেকর্ড আছে। আমি সেখানে এমন কোন কথা বলিনি। আমি নাকি বিএনপির কেউ না।
বিএনপির কেউ না হলে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কিভাবে আমাকে চারবার সাধারণ সম্পাদকের মনোনয়ন দিয়েছে।
তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, “সেলিম ভূঁইয়া উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা ও বানোয়াট বক্তব্য দিয়েছেন। এর মাধ্যমে তিনি কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) আসনের কিছু নেতার এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছেন। অথচ আপিল শুনানির সম্পূর্ণ ভিডিও প্রমাণ হিসেবে রয়েছে, যেখানে সেলিম ভূঁইয়ার বক্তব্যের কোনো মিল নেই।”
ব্যারিস্টার মামুন আরও বলেন, “আমি ১৯৭২ সালে কুমিল্লার নগর উদ্যানের জামতলায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাত ধরে জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতিতে যুক্ত হই। আমি সুপ্রিম কোর্টের জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মনোনীত প্রার্থী ছিলাম।
২০০১ সালে বিএনপি থেকে ধানের শীষ প্রতীকের মনোনয়নও পেয়েছিলাম। জিয়াউর রহমানের পরিবারের সাথেও আমার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে।”
তিনি জানান, আগামী নির্বাচনে তিনি কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন চাইবেন।
এ সময় বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবির খান, এডভোকেট মফিজুর ইসলাম, এড ফারুক আহম্মেদ, এনায়েত করিম, মাহবুবর হমান দিদার, আবু ইউছুফ বাবু, খোরশেদ আলম লাভলু, কিরণ মুন্সী, মোস্তফা জামান, এমরান হোসেন মাষ্টার, আবরামুল ইসলাম, হাসান ভূইয়া, শামীম আল মামুন, নাছির উদ্দিন ভূইয়া, আবুল বাশার, মতিউর রহমানসহ বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।