বাকেরগঞ্জ মডার্ন ক্লিনিকে প্রসূতির ভুল চিকিৎসার অভিযোগ

আইন আদালত দুর্ঘটনা বরিশাল সারাদেশ
শেয়ার করুন....,

বাকেরগঞ্জ মডার্ন ক্লিনিকে প্রসূতির

ভুল চিকিৎসার অভিযোগ

মোঃ সুমন ভূঁইয়া, বরিশালঃ

বরিশালের বাকেরগঞ্জে মডার্ন ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এক প্রসূতির রক্তের গ্রুপ ভুল নির্ণয়সহ ভুল চিকিৎসার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেছেন রোগীর স্বজনেরা।

জানা যায়, বাকেরগঞ্জ উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বোয়ালিয়া গ্রামের মোঃ আরিফ খানের স্ত্রী সাথী বেগম প্রসব বেদনা নিয়ে গত বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১২ টায় বাকেরগঞ্জ উপজেলা সদরের বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন মডার্ন ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আসেন।

ক্লিনিকের ডাঃ মৃদুলা কর ওইদিন বিকেলেই রোগীর সিজারিয়ান অপারেশনের কথা বলেন।

রোগীর স্বজনদের সাথে ১৭ হাজার টাকার মৌখিক চুক্তিতে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় অপারেশনের মাধ্যমে সাথী বেগম দ্বিতীয় কণ্যা সন্তানের মা হন। সিজার শেষে তাকে বেডে দেয়া হয়।

অপারেশনের পূর্বে রোগীর স্বজনরা রোগীর রক্তের গ্রুপ এবি পজেটিভ জানালে চিকিৎসক ডাঃ মৃদুলা কর তাদেরকে ওই গ্রুপের রক্ত সংগ্রহ রাখতে বলেন। সেই নির্দেশ মোতাবেক রোগীর স্বজনরা এবি পজেটিভ রক্তের ডোনার ক্লিনিকে উপস্থিত করেন। একইদিন অপারেশনের পূর্বে রক্তের প্রয়োজনে রোগীর রক্তের গ্রুপ নির্নয় করে ক্লিনিকের টেকনোলজিস্ট রোগীর রক্তের গ্রুপ বি পজেটিভ বলে জানায়। ওই সময় রোগীর স্বজনরা বি পজেটিভ ডোনার তাদের সংগ্রহে রাখেন।

অপারেশনের পর রোগীর স্বজনেরা সাথীর রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ও রক্তের ক্রস ম্যাচিংয়ের জন্য ক্লিনিকের টেকনোলজিস্টকে অনুরোধ করেন। তখন ক্লিনিকের টেকনোলজিস্ট রোগীর রক্তের গ্রুপ এবি পজেটিভ বলে রিপোর্ট দেয়।

একই দিনে একই রোগীর রক্তের গ্রুপ ভিন্ন ভিন্ন বলে জানালে এনিয়ে সন্ধ্যার পরে বাকেরগঞ্জ মডার্ন ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্তৃপক্ষের সাথে রোগীর স্বজনদের বাকবিতণ্ডা হয়।

খবর পেয়ে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা সেখানে ছুটে গেলে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ রোগীর স্বজন এবং সাংবাদিকদের নিউজ প্রকাশ থেকে বিরত রাখতে ম্যানেজ করার চেষ্টা করে।

এ ব্যাপারে ক্লিনিকের ডিউটিরত ডাঃ মেহেদী হাসান রাহাত সাংবাদিকদের জানান, সিজারিয়ান রোগী সাথী বেগম ক্লিনিকের ৭০৩ নং রুমে ভর্তি রয়েছেন। মূলত রোগীর রক্তের গ্রুপ এবি পজেটিভ।

ভুলবশত টেকনিশিয়ান রোগীর রক্তের গ্রুপ বি পজিটিভ বলে রিপোর্ট দিয়েছিল।

এ ঘটনা নিয়ে রোগী ও তার স্বজনদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। ভিন্ন গ্রুপের রক্ত রোগীর শরীরে পুশ করালে তার মৃত্যু হলে দায় কে নিতো প্রশ্ন করলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।

জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ এস এম মনুজুর-এ-এলাহী জানান, রোগীর পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে অবশ্যই তিনি ক্লিনিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।

কাঁসারীপাড়া সিঙ্গেল ক্যারাম ফাইনাল অনুষ্ঠিত

 


শেয়ার করুন....,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *