
ধুনটে বেহাল রাস্তায় ঝুঁকি
নিয়ে শিক্ষার্থীদের চলাচল
মোঃ আনোয়ার হোসেন, বগুড়াঃ
বগুড়ার ধুনট উপজেলার পার লক্ষীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের রাস্তার বেহাল দশায় দুর্ভোগে পড়েছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।
দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে তা আরও কর্দমাক্ত হয়ে পড়ে, ফলে পায়ে হেঁটে বিদ্যালয়ে পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়ে শিক্ষার্থীদের জন্য।
স্থানীয় অভিভাবক ও শিক্ষকরা জানান, ভাঙা ও কাঁচা রাস্তায় প্রতিদিন হেঁটে বিদ্যালয়ে পৌঁছাতে গিয়ে শিশুরা প্রায়ই পড়ে গিয়ে আহত হয়। অনেকে ভয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়া কমিয়ে দিয়েছে।
এতে পাঠদান কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক বলেন, “আমরা শিক্ষার্থীদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চেষ্টা করি, কিন্তু এই রাস্তা আমাদের বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বর্ষা আসলেই দুর্ভোগ আরও বাড়ে।” স্থানীয় বাসিন্দা হাফেজ আব্দুল হালিম বলেন,বর্তমানে ধানের বাজার যদি ১৫০০ টাকা মণ হয় তবে আমাদের গ্রামে ধানের দাম ১৩০০ টাকা মণ ।
তবুও সাইধে দিতে হয় বেপারীদেরকে।মানসিকভাবে আমাদের গ্রামের মানুষ খুবই কষ্টে আছে।
রাস্তা পাকাকরন হলে গ্রামের মানুষের এই কস্ট লাঘব হত। সুজন সরকার জানান, “আমাদের গ্রামের রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ফলে জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজনে অসুস্থ রোগীদের শহরে নেওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।
অনেক সময় রোগীরা সময়মতো চিকিৎসা না পেয়ে প্রাণ হারান। এই রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করা এখন সময়ের দাবি।
” পার লক্ষীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, বিদ্যালয়ের প্রধান সড়ক জরাজীর্ণ অবস্থা হওয়ার কারণে আমরা শিক্ষার্থীরা প্রায় সময়ই কাদাপানিতে পিছলে পড়ে যাই।
এতে হাত-পায়ে ব্যথা পায় যার কারনে স্কুলে নিয়মিত হতে পারছি না। রাস্তাটি দ্রুত পাকা করে দেয়া হলে আমরা সবাই নিয়মিত হতে পারবো। স্থানীয়রা দ্রুত রাস্তা সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।
তারা মনে করেন, সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নিলে সমস্যার দ্রুত সমাধান সম্ভব।
উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তারা রাস্তা মেরামতের দাবি জানিয়েছেন যেন কোমলমতি শিক্ষার্থীরা নির্বিঘ্নে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে পারে।
ব্রাহ্মণপাড়ায় নিখোঁজের ২দিন পর প্রবাস ফেরত যুবকের লাশ উদ্ধার