
পরিত্যাক্ত-জরাজীর্ণ ভবনে পাঠদান, আতঙ্কে শিক্ষক-শিশু শিক্ষার্থীরা
তাবারক হোসেন আজাদ, লক্ষ্মীপুরঃ
দেয়াল ও পিলারে ফাঁটল। কোথাও কোথাও বেরিয়ে এসেছে রড। আস্তরণ খসে পড়ছে। ছাদ থেকে ঝরে পড়ছে বালু, সিমেন্টের গুঁড়ো। শীত মৌসুমেও শ্রেণিকক্ষের ভেতর স্যাঁতস্যাঁতে। এমনই বেহাল দশা লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার দশ নাম্বার রায়পুর ইউনিয়নের কাজির চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন।
দুর্ঘটনা আশঙ্কা সত্ত্বেও শিক্ষকও শতাধিক শিক্ষার্থীর পাঠদান চলছে জরাজীর্ণ এই ভবনে। জানা যায়, বিদ্যালয়টি ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। রেজিষ্ঠারকৃত বিদ্যালয়টি ২০১৩ থেকে সরকারি করন করা হয়।
বিদ্যালয়টিতে ১ম শ্রেণী থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হয়। বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় প্রায় শতাধিক। বিদ্যালয়ের ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্টিত হয়। ভবন সংকটের কারণে ২০২১ সালে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষনা করলেও এখনও ভবনটিতেও চলছে পাঠদান।
‘বিদ্যালয়ের ভবন এমন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সন্তানকে পড়তে পাঠিয়ে আতঙ্কে থাকেন অভিভাবকেরা। এই বিদ্যালয়ের আশেপাশে ৭টি কেজি স্কুল ও মাদরাসা রয়েছে।
প্রধান শিক্ষকসহ স্কুল কর্তৃপক্ষ ইউএনও ও শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে দরখাস্ত দিলেও বিদ্যালয় ভবন সংস্কার বা নতুন ভবন করা হচ্ছে না।
’ রোববার (৭ ডিসেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, একতলা ভবনটির অবস্থা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
ভবনগুলোর ছাদ ও দেয়াল যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী অয়ন্তিকা বনিকসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, ক্লাস চলাকালে মাঝেমধ্যে ছাদের সিমেন্টের আস্তরণ খসে পড়ে।
এতে শরীরে অনেক সময় ধুলোবালি এসে পড়ে। তার পরও বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় এই ভবনেই ক্লাস করতে হচ্ছে তাদের।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জাহাঙ্গির আলম ভুইয়া বলেন, এই ইউনিয়নে সরকারি চারটি স্কুলেরই ভবন আছে। শুধু আমার স্কুলেই ভবন নেই। এটি গুরুত্বপুর্ণ ভোট কেন্দ্র।
২০২৩ সালে স্কুলের ভেতরে একটি ছোট জলাশয় ভরাটের জন্য সাবেক এমপি নয়ন এক লক্ষ টাকা দিলে তা কুচুক্রিমহল আত্নসাত করেছেন। ভবনটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় আমাদের শিক্ষাকার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। সামনে ভোট। এটি সংস্কারের জোর দাবি জানাই।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিও) মোঃ শহীদুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ ভবনটি সংস্কার করা হয়নি। সংস্কার করা জরুরি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেদী হাসান কাউছার বলেন, বিদ্যালয়ের ভবনটি সংস্কার করা জরুরি। সংস্কারের জন্য যা যা প্রয়োজন, দ্রুত সময়ের মধ্যে চেষ্টা করবো।