রাজারহাট মুক্ত দিবস পালিত

আইন আদালত জাতীয় রংপুর রাজনীতি সারাদেশ
শেয়ার করুন....,

রাজারহাট মুক্ত দিবস পালিত

মোঃ এনামুল হক বিপ্লব, কুড়িগ্রামঃ

আজ ৬ ডিসেম্বর রাজারহাট মুক্ত দিবস। রাজারহাটে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় অনেক মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছিল ।

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষকদের সূত্রে জানা যায়, ১৯৭১ সনে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পর পাক বাহিনী রাজারহাট-কুড়িগ্রাম সড়কের পার্শ্বে ঠাটমারীতে ক্যাম্প গড়ে তোলে। এখান থেকে পাকসেনারা তাদের সহযোগীদের মাধ্যমে পরিকল্পনা মাফিক বিভিন্ন স্থানে সাধারন মানুষের ঘর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ,নরহত্যা,ধর্ষণ, লুটপাটসহ নানা বর্বরোচিত অপকর্ম চালান।

এখানে যুদ্ধ চলাকালীন প্রায় দিন কোন না কোন স্থান থেকে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সাধারণ মানুষদের ধরে এনে নানাভাবে নির্যাতন শেষে হত্যা করা হতো। এভাবে কত মানুষকে হত্যা করে লাশ পার্শ্বের ব্রীজের নীচে পানিতে ভাসিয়ে দেয়া হয়েছে এবং কত মানুষকে হত্যার পর ঠাটমারি বদ্ধভূমিতে মাটি চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে এর সঠিক পরিসংখ্যান কেউ জানেন না। তবে পানির স্রোতে অগণিত মানুষের লাশ ভেসে যেতে দেখেছেন এলাকাবাসী।

এর মধ্যে মুক্তিযুদ্ধে ঠাটমারীতে ১১জন মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যার রেকর্ড রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদে।

পাকিস্থানী হানাদার বাহিনীর নানা অপকর্মের সাক্ষী ঠাটমারী বধ্যভূমি। মহান মুক্তিযুদ্ধে নানা বেদনা বিধুর ও স্মৃতি বিজড়িত ঘটনার সাথে জড়িয়ে রয়েছে এটি।

শহীদদের সম্মানার্থে ২০০৬ সালে সরকারি অর্থায়নে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঠাটমারী বধ্যভূমিতে গড়ে উঠে স্মৃতিস্তম্ভ। বিজয়ের মাস আসলে কথা আসে ঠাটমারী বধ্যভূমির। এসব লোমহর্ষক ঘটনা যারা জানেন, এখনো মনে পড়লে শিহরে উঠেন তারা।

শেষপর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্র বাহিনীর প্রতিরোধের মুখে পাকবাহিনী,কুড়িগ্রাম থেকে টগরাইহাটের উপর দিয়ে রাজারহাট হয়ে পিছু হঠতে শুরু করে।

রাজারহাট উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রজব আলী জানান, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন শেষ পর্যায়ে বাংলার মুক্তিকামী দামাল ছেলেদের প্রতিরোধের মুখে পাকিস্থানী হানাদার বাহিনী রাজারহাট ছেড়ে পালিয়ে যায়।

৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সনে রাজারহাট হানাদার মুক্ত হয়।


শেয়ার করুন....,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *