
দেড় বছরেও শুরু হয়নি রায়পুর
মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ কাজ
তাবারক হোসেন আজাদ, লক্ষ্মীপুরঃ
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বহু প্রতীক্ষিত মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণকাজ কচ্ছপ গতিতে এগোচ্ছে। ৬ কোটি ৫১ লাখ টাকা ব্যায়ে প্রকল্পের কাজ শুরুর পর নির্ধারিত ৯ মাসে প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা থাকলেও প্রায় দেড় বছর অতিক্রান্ত হলেও কাজের তেমন অগ্রগতি নেই।
এতে স্থানীয় ক্রীড়া সংগঠন ও ক্রীড়া প্রেমিদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, কাজ শুরুর পর থেকে দীর্ঘ সময় পার হলেও পুরো মাঠে শুধুমাত্র বালু ফেলে সমতল করার কাজই সম্পন্ন হয়েছে। গ্যালারি, ড্রেসিং রুম, সীমানা প্রাচীরসহ মূল কাঠামোর কাজই বাস্তব চিত্রে দেখা যায়নি।
প্রকল্প ব্যয় ও তথ্যফলক অনুযায়ী, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের উদ্যোগে রায়পুর উপজেলার “মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ (২য় ধাপ)’ প্রকল্পের কাজের মেয়াদ ছিলো ৯ মাস। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রফিক কনস্ট্রাকশন কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেডের অবহেলায় কাজ দীর্ঘদিন ধরে ধীরগতিতে চলছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
স্থানীয় ক্রীড়াবিদরা জানান,” আশা ছিল চলতি বছরের মধ্যেই একটি আধুনিক মিনি স্টেডিয়াম পাবো। কাজের অগ্রগতি দেখে মনে হচ্ছে আরও বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হবে।
কর্তৃপক্ষের তদারকি নেই বললেই চলে।” ঠিকাদার তার পারিবারিক (স্ত্রীর) মামলায় কারাগারে রয়েছেন বলে জানতে পেরেছি।
এ বিষয়ে ক্রিয়া পরিষদের কর্মকর্তা মোঃ সুজন জানান, সারা দেশে যে ভাবেই কাজ চলে এখনই তেমনি কাজ চলে। ধীরগতির বিষয়ে আমি কিছু বলবোনা, কর্তৃপক্ষ ভালো জানেন।
এ বিষয়ে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার হৃদয় হোসেন জানান, কিছু প্রকৌশলগত জটিলতা ও জায়গা নিচু হওয়া জলাবদ্ধতার কারণে কাজ পিছিয়ে পড়েছে। নিচের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে এবং কাজ দ্রুত করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা মনে করছেন, দুর্বল তদারকি ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অবহেলাই মূল কারণ। তারা দ্রুত কাজ শুরু এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রকল্প শেষ করার দাবি তুলেছেন।
রায়পুরের ক্রীড়াঙ্গনের প্রাণ ফিরিয়ে আনতে এবং যুব সমাজকে সুস্থ বিনোদন উপহার দিতে দ্রুত স্টেডিয়াম নির্মাণ সম্পন্নের দাবি জানানো হয়।
রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেদী হাসান কাউছার বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি। মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণে কেন ধীর গতিতে হচ্ছে, খোঁজ খবর নিয়ে দেখবো।