
বাকেরগঞ্জে বিএনপি নেতার শেল্টারে
আ’লীগ দোসরদের পুনর্বাসনের চেষ্টা
বরিশাল প্রতিনিধিঃ
বরিশালের বাকেরগঞ্জের কলসকাঠী ইউনিয়নে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের পালিয়ে থাকা নেতাকর্মীদের অনেকেই এলাকায় ফিরতে শুরু করেছেন। দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকা এসব নেতাকর্মীদেরকে দলে পুনর্বাসনে সহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে কলসকাঠী ইউনিয়ন বিএনপি আহবায়ক আবুল বাশার বকুলের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ রয়েছে, মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেনসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার বিনিময়ে তিনি এসব আওয়ামী নেতাকর্মীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন। তবে তিনি তার বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলছেন, যে কোন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ মিললে জেলা বিএনপি নেতারা যেন তার ব্যবস্থা নেয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি কলসকাঠী ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিএনপি’র কমিটিতে আওয়ামী লীগের দোষরদের পদ পদবী দিয়ে পুনর্বাসনে সহায়তা করছেন ইউনিয়ন বিএনপি’র আহবায়ক আবুল বাসার বকুল।
গত ১০ জুলাই তিনি কলসকাঠী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের কমিটি গঠনকালে আওয়ামী লীগের সুযোগ সুবিধা নেয়া নৌকার নির্বাচন করা সৈয়দ সোহাগকে প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়েছেন। খোদ অভিযোগ রয়েছে, বিএনপি নেতা আবুল বাসার বকুলের সঙ্গেও ইউনিয়ন যুবলীগ আহবায়ক নেছার উদ্দিন খানের সাথে সুসম্পর্ক রয়েছে।
বিভিন্ন সময় স্থানীয়রা তার সঙ্গে গোপন বৈঠকেও দেখেছেন। দুজনের সখ্যতার ছবিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাছাড়া আবুল বাশার বকুলের পুত্র শফিকুল ইসলাম জনি যুবলীগের একজন সক্রিয় কর্মী।
২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনি আওয়ামী লীগ প্রার্থী মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) হাফিজ মল্লিকের নৌকার পক্ষে কাজ করেছেন। আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি হাফিজ মল্লিকের সাথে আবুল বাশার বকুলের পুত্র জনির ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। বিএনপির স্থানীয় নেতাদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগের নেতাদের বিএনপির কমিটিতে পুনর্বাসন কাজে কিছু অর্থকড়ি লেনদেন হয়েছে।
উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব কামরুজ্জামান মিজান বলেন, আওয়ামী লীগের কোন নেতাকর্মীদের বিএনপিতে নেয়ার সুযোগ নেই। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে যার ছবি থাকবে তাকে কোন ওয়ার্ড কমিটিতেও স্থান দেওয়া যাবে না। তারপরেও যদি কেউ আওয়ামী লীগ নেতাদের পুনর্বাসনের অপচেষ্টা করে তাদের বিরুদ্ধে দলীয় ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।