ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

আইন আদালত কুমিল্লা চট্টগ্রাম জাতীয় সারাদেশ
শেয়ার করুন....,

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

মোঃ শাকিল হাসান, ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের আর. এম শাখার অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক মোঃ আজিম খান এর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। অভিযোগ দাখিল করেছে রসরাজ চন্দ্র সরকার।

তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন, অভিযুক্ত আজিম, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর, আরএম শাখা, ডিসি অফিস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর নিকট বিভিন্ন মামলার নিয়ন্ত্রন থাকায় দীর্ঘদিন যাবত অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করছেন। সে বিভিন্ন মিসকেস মামলার হাজিরা গ্রহণের বিনিময়ে ২,০০০/-টাকা করে গ্রহণ করেন।

সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে মিসকেসসহ বিভিন্ন মামলার ডেইট ফিক্সড করার বিনিময়ে ৫,০০০/-টাকা পর্যন্ত নেন। সে বিভিন্ন উকিলদের সাথে আঁতাত করে এসিল্যান্ডদের নিকট থেকে প্রাপ্ত দেওয়ানী মামলার জবাব ৫,০০০/-থেকে ১০,০০০/-টাকার বিনিময়ে ফাইল থেকে গোপনে দিয়ে দেন।

আরো পড়ুনঃ

সরকারকে অবিলম্বে গণভোটের তারিখ ঘোষণা করতে হবে-মাও. আবদুল হালিম

মিসকেস মামলার আপিল মামলার রায় নিশ্চিত করে দেবে বলে মোটা অংকের অর্থ দাবী করেন। বাদী-বিবাদীগন টাকা কম দিলে ভোক্তভোগীদের সাথে খারাপ আচরণ করেন।

অভিযুক্ত ব্যক্তি সাধারণ সেবা প্রার্থীদের জিম্মি করে অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ অবৈধ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি অর্জন করেছেন।

অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহের বিষয়ে দ্রুত বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, চেয়ারম্যান দুর্নীতি দমন কমিশন ও বিভাগীয় কমিশনার চট্টগ্রাম এর নিকট লিখিত অভিযোগ দাখিল করে ভুক্তভোগী রসরাজ চন্দ্র সরকার।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রসরাজ চন্দ্র সরকার বলেন, মোঃ আজিম এর কাছে আমি আমার একটা বিবিধ মিস কেস মামলার জন্য যায়, সে প্রথম থেকেই আমার সাথে খারাপ আচরণ করে, কোন সহযোগিতা করেনি। আমি মামলা দাখিল করি, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এর বরাবর। পরে আমার মিস কেস বিবিধ মামলা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব মামলা গ্রহণ করে।

আমি১০/০৭/২০২৪ ইং সালে সরাইল ভূমি অফিসের নথি গায়েব এর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছিলাম, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন এর বরাবর। আমার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত আসে মন্ত্রণালয় থেকে, এই তদন্ত করে বর্তমান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব, জেসমিন সুলতানা।

তদন্ত কালে উনি আমাকে ডেকে বলে ছিল যে আপনার জায়গা আমি পিড়িয়ে দিব আপনি অভিযোগ তুলে নেন। আপনি নেয় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

রসরাজ চন্দ্র সরকার বলেন আমি আরো কিছু অফিসার এর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দাখিল করবো।


শেয়ার করুন....,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *