
সরকারকে অবিলম্বে গণভোটের তারিখ
ঘোষণা করতে হবে-মাও. আবদুল হালিম
গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম বলেছেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চায়।
তবে নির্বাচনের পূর্বেই জামায়াতে ইসলামী আগামী নভেম্বর মাসেই জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন আদেশের উপর একটি গণভোট চায়।
অবিলম্বে গণভোটের মাধ্যমে পাশ করা আদেশের ভিত্তিতেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিতে হবে।
তিনি আজ ৩১ অক্টোবর শুক্রবার সকাল ১০.০০ টায় গাইবান্ধা জেলা কার্যালয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আসন ভিত্তিক নির্বাচনী দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
গাইবান্ধা সদর উপজেলা আমীর মাওলানা নুরুল ইসলাম মন্ডল এর সভাপতিত্বে ও গাইবান্ধা পৌরসভার আমীর অধ্যাপক ফেরদৌস আলম ফিরোজ এর পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও জেলা আমীর মো. আব্দুল করিম।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা নায়েবে আমীর, গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের এম.পি প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়ারেছ, জেলা নায়েবে আমীর সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের এম.পি প্রার্থী অধ্যাপক মাজেদুর রহমান, জেলা সেক্রেটারি ও গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন পরিচালক মাওলানা জহুরুল হক সরকার, জেলা সহকারী সেক্রেটারি ও জেলা প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারি সৈয়দ রোকনুজ্জামান, জেলা সহকারী সেক্রেটারি মো. ফয়সাল কবির (রানা), শিবিরের জেলা সভাপতি ফেরদৌস সরকার রুম্মান, জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ও পেশাজীবি বিভাগের সভাপতি মুহাম্মদ খায়রুল আমীন, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য ও জেলা ওলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা সাইদুর রহমান, ফোরাম অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স এর জেলা সভাপতি জনাব আব্দুল আউয়াল, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আমীর অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম মঞ্জু, সাঘাটা উপজেলা আমীর মাওলানা ইব্রাহিম হোসাইন, ফুলছড়ি উপজেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজুল ইসলাম আকন্দ, শিবিরের জেলা সেক্রেটারি মো. ইউসুফ আলী, সাঘাটা উপজেলা সেক্রেটারি আব্দুল গফুর, সদর উপজেলা জামায়াত সেক্রেটারি মো. আনোয়ারুল আলম, শহর জামায়াতের সেক্রেটারি মু. আবু হাসান আকন্দ, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি মো. সামিউল ইসলামসহ জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা আবদুল হালিম আরও বলেন, কোন কোন মহল নির্বাচনের ব্যাপারে রিউমার ছড়াচ্ছে। মনগড়া বক্তব্য দিয়ে সন্দেহ ও সংশয় সৃষ্টি করছে। এ সব ব্যাপারে সজাগ ও সতর্ক থাকার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় ৩১টি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে বহু আলাপ-আলোচনা ও বিচার বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রায় ৮০টি বিষয় আমরা একমত হয়েছি। তারপরে আমরা জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছি।
তিনি বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে। সবাইকে নিয়ে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা চলছে। কোনো বিভ্রান্তি না ছড়িয়ে জাতীয় ঐক্য, গণভোট ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের স্বার্থেই সবাইকে সংযত হওয়া উচিত। কোনভাবেই জাতীয় ঐক্য ব্যাহত করা যাবে না।
ফ্যাসিবাদ ফিরে আসুক তা আমরা কিছুতেই চাই না। আমরা গণতন্ত্র চাই। গণতন্ত্র ব্যাহত হতে পারে এমন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
মাওলানা আবদুল হালিম আরও বলেন, প্রত্যেক দল তার নিজস্ব প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবে এটাই স্বাভাবিক। আমরা আশা করি নির্বাচন কমিশন দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করবে।
তিনি বলেন, দেশ আমাদের সবার, তাই আমাদের সবাইকে মিলেই এ দেশকে রক্ষা করতে হবে এবং দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমরা ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই। ৫৪ বছরে মানুষের উপর মানুষের প্রভুত্ব ও কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবসান চাই। ক্ষমতায় গেলে জামায়াত জনগণের সেবক হবে ইনশাআল্লাহ।
নৈতিক শক্তি নষ্ট হয় এমন কাজ জামায়াত কখনও সম্পৃক্ত হবে না। জনগণের মন ও ভালোবাসায় সিক্ত হয়েই জামায়াত বিজয় ছিনিয়ে আনবে ইনশাআল্লাহ।”