
মুরাদনগরে নিখোঁজের ৭দিন পর
পুকুর থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার !
সফিকুল ইসলাম, মুরাদনগরঃ
কুমিল্লার মুরাদনগরে নিখোঁজের ৭দিন পর পুকুর থেকে গলায় রশি ও সিমেন্টের পাথর বাঁধা অবস্থায় ছয় বছর বয়সী শিশু আদিবা জাহান মীম(৭) এর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিকালে উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন সিমানারপাড় গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। শিশু আদিবা উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার সিমানাপাড় গ্রামের হানিফ মিয়ার মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বিকালে শিশুটি বাড়ির আশপাশেই খেলছিল। হঠাৎ সন্ধ্যার পর থেকে শিশুটিকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে রাতভর শিশুটির স্বজনেরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। কিন্তু তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
আরো পড়ুনঃ
বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় বাসিন্দা হানিফ মিয়া পুকুর পাড়ে বাঁশ কাটতে গিয়ে শিশুটির লাশ দেখতে পায়। পরে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করেছেন।
ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন, মুরাদনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ কে এম কামরুজ্জামান স্থানীয়রা ধারণা করছেন, শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
পরে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে শিশুটির গলায় রশি পেঁচিয়ে, সেই রশি দিয়ে একটি বড় পাথর বেঁধে পুকুরে ফেলে দেয়া হয়েছে। নিহত শিশু আদিবার বাবা আবু হানিফ জানান, আমি ঢাকায় চাকরি করার সুবাদে গ্রামের বাড়িতে মাঝেমধ্যে আসি। ঘটনার দিন আমি বাড়িতেই ছিলাম। বাড়িতে আসলে আদিবা সবসময় আমার সাথেই থাকে।
কিন্তু শুক্রবার দুপুরে শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় আদিবা কে আমার সাথে করে বাজারে নিয়ে যেতে পারিনি। বাড়ি ফিরে শুনি আদিবা খেলতে গিয়ে আর ঘরে ফিরেনি। তারপর থেকে তাকে আর খুঁজে পাইনি। যেই পুকুরটি থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে সেখানেও আমরা লোকজনকে পানিতে নামিয়ে খোঁজাখুঁজি করেছি। তখন সেখান থেকে কোন কিছুই পাওয়া যায়নি। আমি চাই আর কোন বাবার বুক যেন খালি না হয়।
প্রশাসন যেন খুনীকে খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করেন। বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।