শিক্ষকের দ্বায়িত্বে ২০ শিক্ষার্থীর মাথা ন্যাড়া

আইন আদালত কুমিল্লা চট্টগ্রাম জাতীয় শিক্ষা সারাদেশ
শেয়ার করুন....,

শিক্ষকের দ্বায়িত্বে ২০ শিক্ষার্থীর মাথা ন্যাড়া

লাকসাম প্রতিনিধিঃ
শিক্ষকের দ্বায়িত্বে বিভিন্ন শ্রেনীর অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীর মাথা ন্যাড়া করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই শিক্ষক মাথা ন্যাড়া করার পর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রতি জন থেকে ৫০ টাকা আদায় করেন। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
একাধিক শিক্ষার্থীর অভিযোগ ওই শিক্ষকের নিকট ইংরেজি প্রাইভেট না পড়ার কারণে তিনি প্রতিশোধ নিতে এ কাজ করেন।
অভিযুক্ত লাকসাম সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক শাহজাহান কবির তিনি ওই বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের পাঠ দিয়ে থাকেন।
ঘটনাটি ঘটেছে আজ বৃহস্পতিবার কুমিল্লার লাকসাম সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনী থেকে ১০ম শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের মাঝে।
জানা যায়, লাকসাম সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের মাঝে সুনামধন্য একটি শিক্ষা প্রতিষ্টান।
ওই প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্ট করতে নানামুখী চক্রান্তের অংশ হিসাবে পাঠদানে অবহেলা, শিক্ষার্থীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ, স্কুল শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করা হয়।
একাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক জানায় লাকসাম সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক শাহজাহান কবির সারা বছর বিদ্যালয়ের আশপাশে রুম ভাড়া নিয়ে  ৭ম শ্রেনী থেকে ১০শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের ইংরেজি বিষয়ে প্রাইভেট পড়িয়ে আসছেন। যারা ওই শিক্ষকের নিকট প্রাইভেট পড়েন তাদের পরিক্ষায় অধিক নম্বর দিয়ে থাকেন। আর যারা প্রাইভেট না পড়েন তাদের সাথে চলে অসদাচরণ।
আজ বৃহস্পতিবার লাকসাম সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনী থেকে ১০ম শ্রেনীর প্রায় ২০ জন শিক্ষার্থীকে শ্রেনী কক্ষ থেকে ডেকে এনে স্কুলের পাশ এক সেলুনে নিয়ে তাদের মাথা ন্যাড়া করে দিয়ে প্রতিজন থেকে ৫০ টাকা আদায় করেন। কোন কারণ ছাড়া শিক্ষার্থীদের মাথা ন্যাড়া করায় শিক্ষার্থী ও  অভিভাবকদের মাঝে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। একাধিক শিক্ষার্থী জানায় আমরা স্যারের প্রতিহিংসার শিকার।  যারা স্যারের কাছে প্রাইভেট পড়েন তাদের মাথা ন্যাড়া করা হয়নি। মাথা ন্যাড়া করে আমাদের থেকে ৫০ টাকা আদায় করা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক অভিভাবক বলেন, আমার ছেলে স্যারের কাছে প্রাইভেট পড়ে না। আমার ছেলের মাথা কেন ন্যাড়া করা হয়েছে। এটি কোন আইনে তিনি করেছেন ?
অভিযুক্ত শিক্ষক শাহজাহান কবির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্ট্রাইলে চুল কেটে বিদ্যালয়ে আসেন। এতে বিদ্যালয়ের ড্রেসকোড মানা হচ্ছে না। তাই মাথার চিল ছোট করে দেয়া হয়েছে। প্রাইভেটের বিষয়টি সত্য নয়।
লাকসাম সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এবিএম এনায়েত উল্লাহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, স্কুলের ড্রেসকোড অনুযায়ী চুল কাটতে বলা হয়েছে কিন্তু  মাথা ন্যাড়া করতে বলা হয়নি। প্রাইভেটের বিষয়টি একান্তই ওই শিক্ষকের।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ নাসির উদ্দীন বলেন, শিক্ষার্থীরা স্কুলের ড্রেসকোড অনুযায়ী চুল কাটতে হলে কমিটির অনুমোদন ও সরকারি আইন অনুযায়ী চুল কেটে ছবি তুলতে হবে।
লাকসাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নার্গিস সুলতানা বলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষক কেন  শিক্ষার্থীর মাথা ন্যাড়া করেছেন তা আমি এক্ষুনি খবর নিচ্ছি।

শেয়ার করুন....,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *