রায়পুরের মাছ ঘাটগুলোতে দিনে নিস্তব্ধতা-রাতে সরগরম

অর্থনীতি আইন আদালত চট্টগ্রাম জাতীয় সারাদেশ
শেয়ার করুন....,

রায়পুরের মাছ ঘাটগুলোতে

দিনে নিস্তব্ধতা-রাতে সরগরম

তাবারক হোসেন আজাদ, লক্ষ্মীপুর:

ইলিশ প্রজনন মৌসুমে সরকারি নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনেই লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার আলতাফ মাষ্টার ঘাটসহ ৮টি ঘাটে দিনে নামে নিস্তব্ধতা। সাধারণত দিনের সময়ে ঘাটগুলোতে দিনে থাকে জেলেদের হাকডাক, রাতে থাকে মাছ বিক্রির ধুম।

কিন্তু আজ দিনের বেলায় দেখা যায়নি। দিনের বেলা ২-৪জনকে দেখা গেলেও তারা ব্যস্ত ছিলেন আড়ৎ ধোয়া-মোছার কাজে। তবে রাতের বেলায় ইলিশ ধরার ধুম পড়ে।

এদিকে- এখন পর্যন্ত দুই মৎস কর্মকর্তা ও কর্মচারি এবং কোষ্টগার্ড না দেয়ায় এবারের অভিযান সফল হবেনা বলে জানান জেলেরা।

সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, ৩ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে ২৫ অক্টোবর মধ্যরাত পর্যন্ত টানা ২২ দিন ইলিশ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। এই আইন অমান্য করলে মৎস্য আইনে রয়েছে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, কিংবা উভয় দণ্ডের বিধান।

 

 

স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, প্রজনন মৌসুমে ইলিশ সংরক্ষণে জেলেদের সহযোগিতা প্রশংসনীয়।

উল্লেখ্য-গত ৫ মাস সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, দুই বছর সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা, ৮ বছর ক্ষেত্র সহকারী  ও গত দশ মাস ধরে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদটি শূন্য অবস্থায় রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোষ্টগার্ডও দেয়া হয়নি। এসব কর্মকর্তা না থাকায় এবারের অভিযান বিপলে যাবে বলে জানিয়েছেন সচেতন জেলে ও স্থানীয়রা।

মোঃ মিলন ও হাসিম মাঝি নামের দুই জেলে বলেন, প্রতি বছর এই সময়ে নিষেধাজ্ঞা মানার কারণে ইলিশের সংখ্যা বাড়ে। আমরা জানি দীর্ঘমেয়াদে এটা আমাদের উপকার করবে। তবে সামান্য অসুবিধা হচ্ছে, আয় বন্ধ থাকায় সংসার সামলানো কঠিন।

মালেক মাঝি নামে আলতাফ মাষ্টার ঘাটের অন্য একজন ব্যবসায়ী বলেন, আমরা সচেতন আছি। আমাদের সাথে যারা জড়িত সকলকে সচেতন করেছি।

নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে স্থানীয় প্রশাসন এবং মৎস্য বিভাগ নিয়মিত পরিদর্শন চালিয়ে যাচ্ছেন, যাতে কেউ আইন অমান্য করতে না পারে। চরবংশীর পুরানভেরি চান্দারখাল ঘাটের ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবির বলেন, আজ ঘাটে অনেকটা নীরবতা, শুধু ধোয়া-মোছার কাজ চলছে।

সবাই সরকারি নিষেধাজ্ঞা মেনে ইলিশ সংরক্ষণে কাজ করছে। আমরা চাই সবাই আইন মেনে ইলিশের প্রজনন নিশ্চিত করুক।

রায়পুর উপজেলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী ( বলেন, এখন পর্যন্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়নি। আমরা চেষ্টা করছি। এমন ধরনের অভিযান ও মোবাইল কোর্ট ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে, যা গ্রাহককে সঠিক ও সতেজ মাছ সরবরাহ নিশ্চিত করতে সহায়ক।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা জনবল সংকটে রয়েছি। বাইরে থেকে লোক এনে নিষেধাজ্ঞা সফল করতে নদীতে টহল অব্যাহত রেখেছি।

মন্ত্রনালয়ে চিঠি দিয়ে রেখেছি। আমরা চাই সবাই আইন মানুক, যাতে ইলিশের প্রজনন ও ভবিষ্যৎ সংরক্ষণ নিশ্চিত করা যায়।


শেয়ার করুন....,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *