
লালমোহনে বিএনপি
কর্মীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত
ভোলা প্রতিনিধিঃ
ভোলার লালমোহন উপজেলায় মো. শাহজাহান নামে এক বিএনপি কর্মীকে বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমানে তিনি লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত শাহজাহান উপজেলার ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কিশোরগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা। এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় একই ইউনিয়নের আনিছল মিয়ার হাট বাজার সংলগ্ন এলাকায় তাকে স্থানীয় মো. তারেক ও মো. সবুজ লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে ফেলে রেখে যান।
এ সময় তার ডাকচিৎকার শুনে স্বজনরা এগিয়ে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। আহত শাহজাহানের চাচাতো ভাই মো. আলাউদ্দিন জানান, ১৫ বছর আগে তারেকের বাবা স্থানীয় এক বাড়িতে চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েন। তখন ইউপি সদস্যসহ শালিসরা তারেকের বাবা মো. হানিফকে মারধর করে ছেড়ে দেন।
আরো পড়ুনঃ
ওই ঘটনার সময় আমার চাচাতো ভাই শাহজাহান মিয়া সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তখন থেকে তারেক সন্দেহ করেছিল শাহজাহানের ইন্ধনে তার বাবাকে মারধর করা হয়েছে। সেই থেকে তারেক শাহাজাহান মিয়ার ওপর ক্ষিপ্ত। ২০২৪-এর ৫ই আগস্টের পর শাহজাহান মিয়াকে আওয়ামীলীগ বানিয়ে অপপ্রচার চালাতে থাকে তারেক।
আওয়মীলীগ ট্যাগ দিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় শাহজাহান মিয়া আনিছল মিয়ার হাটে অবস্থিত বিএনপির অফিস থেকে একটি মিটিং শেষে বাসায় ফেরার পথে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায় তারেকসহ কয়েকজন।
তিনি আরো জানান, অথচ আমার চাচাতো ভাই শাহজাহান বিএনপি করার অপরাধে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হয়রানি ও তোপের মুখে পড়ে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন। গত ১০ বছর ধরে তিনি ঢাকায় ছিলেন।
৫ আগস্টের পর তিনি আবার এলাকায় আসেন। পুরনো প্রতিশোধ নিতেই আমার চাচাতো ভাইকে পরিকল্পিতভাবে পিটিয়ে আহত করা হয়। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার কামনা করছি।
এ ঘটনার ব্যাপারে তারেকের বক্তব্য জানতে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তাকে না পাওয়ায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
ফরাজগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, মারধরের ঘটনাটি আমি শুনেছি। আহত শাহজাহান বিএনপির একজন কর্মী।
এ বিষয়ে লালমোহন থানার ওসি মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।