
কুমিল্লা-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সোহরাবের ফেস্টুন ছেঁড়ার অভিযোগ
সৌরভ মাহমুদ হারুন, ব্রাহ্মণপাড়াঃ
জুলাই-আগস্ট ২০২৪-এর উত্তাল আন্দোলনের দিনগুলোতে ঢাকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের হলে অবস্থান নিষিদ্ধ হলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সেই সংকটময় মুহূর্তে প্রথম যিনি নিজের বাড়ির দরজা ছাত্রছাত্রীদের জন্য খুলে দেন, তিনি ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরী।
তার বাসায় আশ্রয় নেয় অসংখ্য ছাত্র। কয়েকদিন তারা সেখানে অবস্থান করে সকালে আবার আন্দোলনের মাঠে যোগ দেয়। শুধু আশ্রয়ই নয়, সোহরাব নিজেও আন্দোলনে সরাসরি যুক্ত ছিলেন। তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্টগুলো এখনো সেই ঘটনার সাক্ষী।
কিন্তু আজ সেই মানুষকেই অবমাননার শিকার হতে হচ্ছে। ব্যারিস্টার সোহরাব অভিযোগ করেছেন, তার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে এবং ফেসবুকে অপমানজনক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। সম্প্রতি স্থানীয় এক আলেমের ছেলে তার ফেস্টুন ছিঁড়ে লাইভে প্রচার করেছে, যা তাকে সবচেয়ে বেশি ব্যথিত করেছে।
তিনি বলেন, “আমাদের সমাজ সবসময় সহনশীলতার জন্য পরিচিত। অথচ আজ পোস্টার ছেঁড়াকে উৎসব হিসেবে দেখা হচ্ছে। আমি কুমিল্লা-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই এই প্রতিহিংসামূলক কর্মকাণ্ড বেড়েছে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি কিংবা জামায়াত—তিন পক্ষই আমাকে নিয়ে উদ্বিগ্ন। অথচ আমি সর্বদলীয় প্রার্থী, মানুষের জন্যই রাজনীতি করছি।”
তার দাবি, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও যেমন পোস্টার ছেঁড়া হয়েছিল, এখন বিএনপি-জামায়াতও একই কাজ করছে। “তাহলে প্রশ্ন হলো—আমি যদি দলীয় প্রার্থী হতাম, পরিস্থিতি কোথায় যেত?”—এমন প্রশ্ন ছুড়ে দেন তিনি।
ব্যারিস্টার সোহরাবের আহ্বান, রাজনীতিতে প্রতিহিংসার জায়গা নয়, বরং পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ফিরিয়ে আনা দরকার। “আমরা মানুষ, কোনো পশু নই। তাই সম্মান ও সহনশীলতাই হোক আমাদের শক্তি।”