ব্রাহ্মণপাড়ায় চান্দলা কেবি হাইস্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডির নির্বাচন বানচালের চেষ্টা

আইন আদালত কুমিল্লা চট্টগ্রাম জাতীয় রাজনীতি শিক্ষা সারাদেশ
শেয়ার করুন....,

ব্রাহ্মণপাড়ায় চান্দলা কেবি হাইস্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডির নির্বাচন বানচালের চেষ্টা

সৌরভ মাহমুদ হারুন, ব্রাহ্মণপাড়াঃ

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী চান্দলা করিম বক্স হাই স্কুল এন্ড কলেজের গভর্রনিং বডির নির্বাচন বানচাল করতে উঠে পড়ে লেগেছে একটি কুচক্রী মহল। তারা বিভিন্ন ভাবে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা চালিয়ে যাচ্ছে।

 সরেজমিনে গিয়ে ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, কলেজের অধ্যক্ষ রাখাল চন্দ্রশীল সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী গত ১১ সেপ্টেম্বর গভর্নিং বডির নির্বাচনে অংশ গ্রহণের জন্য একটি গণবিজ্ঞাপন প্রকাশ করে।

এতে স্বল্প সময়ের মধ্যে চান্দলা করিম বক্স হাই স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডির নির্বাচন সম্পন্ন করতে এবং উক্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য বলা হয়।

এছাড়া অত্র প্রতিষ্ঠানে এককালীন ও আজীবন দাতা সদস্য সংগ্রহের কাজ চলছে মর্মে গণবিজ্ঞাপনে প্রকাশ করা হয় ।

বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে এককালীন দাতা সদস্য ৫০ হাজার টাকা ও আজীবনী দাতা সদস্য ৩ লক্ষ টাকা করে চান্দলা কৃষি ব্যাংক শাখায় জমা দিতে হবে।

 উক্ত টাকার জমা রশিদের মূলকপি ১১ সেপ্টেম্বর হতে ২১ সেপ্টেম্বর  বিকেল ৪ টার মধ্যে কলেজে  জমা দিতে বিজ্ঞাপনে বলা হয়।

তাদের মধ্যে ৬ জন দাতা সদস্য প্রত্যেকে ৫০ হাজার করে তিন লক্ষ টাকা এ সময়ের মধ্যে জমা দিয়েছে।

বাকি দুজন তড়িঘড়ি করে বিকেল ৪:২৫ মিনিটের মধ্যে চান্দালা কেবি স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ নিকট জমা দেন।তারা হলেন চান্দলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ আলমগীর ও তার ভাতিজা সৈয়দ তোফাজ্জল হোসেন।

এ ব্যাপারে চান্দলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ আলমগীর বলেন, আমি সময় মত ব্যাংকে টাকা জমা দিয়েছি। নিয়ম কানুন সম্পর্কে না জানার কারণে টাকার রশিদ জমা দিতে একটু দেরী হয়েছে।

এ বিষয়ে চান্দলা কেবি হাই স্কুল এন্ড কলেজের অভিভাবক সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, নির্বাচনকে বালচাল করতে একটি কুচক্রী মহল তড়িঘড়ি করে সময়ের পরে টাকা ও রশিদ জমা দিয়েছে তা সম্পূর্ণ বেআইনি।

এ বিষয়ে চান্দলা হাই স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ রাখাল চন্দ্রশীল বলেন, উক্ত সময়ের মধ্যে আমি ৬ জনের টাকার রশিদ জমা পেয়েছি আর বাকি দুজন ৪টা পঁচিশে আমার কাছে জমা দিয়েছে।

এ বিষয়ে তাদের টাকার রশিদ বৈধ হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, গভর্নিং বডি রয়েছে তারা যে সিদ্ধান্ত নেবে, আমি সে সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।


শেয়ার করুন....,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *