
ইউএনও’র বদলির আদেশ বাতিলের দাবিতে ক্লাস বন্ধ রেখে ছাত্রদের বিক্ষোভ
লাকসাম প্রতিনিধিঃ
লাকসাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কাউছার হামিদের বদলির আদেশ বাতিলের দাবিতে লাকসাম সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পাঠগ্রহণ বন্ধ করে বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহন করেছে।
আজ বুধবার লাকসাম উপজেলা সাংস্কৃতিক জোটের ব্যানারে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহন করায় বিদ্যালয়ের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করে অভিভাবক ও স্থানীয়দের মাঝে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, লাকসাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কাউছার হামিদ কে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের আদেশে বরিশাল বিভাগে বদলির আদেশ প্রদান করা হয়।
বদলির এ আদেশ বাতিল করে পুনরায় লাকসামে বহাল রাখার দাবীতে সাধারণ জনতার ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। ওই বিক্ষোভ মিছিলে বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষের পাশাপাশি ক্লাস বর্জন করে লাকসাম সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম ও নবম শ্রেণির প্রায় ৪ শতাধিক ছাত্র অংশগ্রহন করেন।
শিক্ষার্থীদের পাঠগ্রহণ বন্ধ করে এ সব আন্দোলনে অংশগ্রহন করায় স্থানীয় ও অবিভাবকদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষার্থী জানায় আমরা প্রতিদিনের ন্যায় পাঠগ্রহনের উদ্দ্যেশে বিদ্যালয়ে আসি। বিদ্যালয়ের শ্রেনী শিক্ষক ক্লাসে না গিয়ে লাকসাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কাউছার হামিদ স্যারের বদলী বাতিলের বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহন করার জন্য, তাই শিক্ষকের আদেশে বিক্ষোভ মিছিলে গিয়েছি। মিছিল শেষে পুনরায় বিদ্যালয়ে এসে ক্লাস করেছি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক নারী শিক্ষক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন লাকসাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বদলীর ঘটনাটি চলমান প্রক্রিয়া। শিক্ষার্থীরা মিছিল কররে কি লাভ হবে। পাঠগ্রহন বন্ধ করে মিছিলে পাঠানোর বিষয়টি বিদ্যালয়ের অব্যবস্থাপনা। এটি আমরা আশা করি না।
পাঠগ্রহণ বন্ধ করে বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহন করার বিষয়ে লাকসাম সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবিএম এনায়েত উল্লাহ জানায় আমাদের ছাত্ররা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলায় যখন গিয়েছে তখন আমি নিজেও উপজেলায় ছিলাম। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের আদেশে ছাত্রদের কে বিদ্যালয়ের ক্লাসে পাঠানোর পর তারা ক্লাসে হাজির হয়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ নাসির উদ্দীন বলেন, ছাত্ররা পাঠগ্রহণ বন্ধ করে বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিয়েছেন জেনে স্কুল প্রধানকে ছাত্রদেরকে ক্লাসে ফিরিয়ে নিতে বলেছি। তবে এটি ঠিক হয়নি।
কুমিল্লা জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি বিষয়টি জানার পর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কে বিস্তারিত জানতে বলেছি।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা-আইসিটি) আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন বলেন, এভাবে কোন শিক্ষার্থী ক্লাস বন্ধ করে বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহন করতে পারে না। আমি জেলা শিক্ষা অফিসার কে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।