
সুন্দরগঞ্জে মাওলানা
ভাসানী সেতু উদ্বোধন
আবু বক্কর সিদ্দিক, গাইবান্ধাঃ
অন্তরবর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন, সমবায়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন-‘বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাকর্তাদের মধ্যে মাওলানা ভাসানী একজনের নাম ! তিনি তিস্তার পানি ন্যায্য হিস্যার দাবীতে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। তাঁর সম্মানে আমরা এ সেতুর নাম করণ করেছি-মাওলানা ভাসানী সেতু।
এ অঞ্চলের মানুষ আঞ্চলিক বৈষম্যের শিকার হয়েছে। চব্বিশের জুলাই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এ সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর আঞ্চলিক বৈষম্য নিরসনে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়েছে। ইতঃমধ্যে ২৯ প্রকল্প নিয়ে কাজ চলছে’।
বুধবার (২০ আগষ্ট) দুপুরে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তিস্তানদীর উপর নির্মিত পাঁচপীর বাজার থেকে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা সংযোগে ১৪৯০ মিটার দীর্ঘ ৩৯ দশমিক ৬০ মিটার প্রস্থের তিস্তানদীর উপর নির্মিত ‘মাওলানা ভাসানীসেতু’ উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন তিনি।
এলজিইডি’র প্রকল্প পরিচালক আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে সেতু সংলগ্ন চৌ-রাস্তা মোড়ে উদ্বোধনী সভায় বক্তব্য রাখেন দাতা সংস্থা সৌদীরফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এসএফডি)’র এশিয়া অপারেশনসের মহা-পরিচালক ড. সৌদ আয়ীদ আলশাম্মরী, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক মাহমুদুল হাসান (এনডিসি), যুগ্ন-সচিব আবুল খায়ের মোহাম্মদ হাফিজুল্লাহ্ খান, উপনচিব শামীম বেপারী, যুগ্ন-সচিব শাহিনুর আলম, সিনিয়র সহকারী সচিব ফারজানা আলম।
সেতুটি উদ্বোধনকালে উপস্থিত থাকবেন এসএফডি’র এশিয়া অপারেশনসের মহা-পরিচালক ড.সৌদ আয়ীদ আলশাম্মারী, জেলা জামায়াতের আমীর ডা. আব্দুর রহিম, উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক বাবুল আহমেদ প্রমূখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন-জেলা প্রশাসক চৌধূরী মোয়াজ্জম আহমদ, পুলিশ সুপার নিশাত এ্যাঞ্জেলাসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তর প্রধানগণ।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া কুড়িগ্রাম অংশে সংযোগ সড়কের বাকী কাজটুকু বর্ষাকালের পর সেপ্টেম্বর মাসে শেষ করার আশাবাদ ব্যক্ত করে আরো বলেন- ‘এই সেতু ও সংযোগ সড়ক নির্মাণের ফলে কুড়িগ্রাম থেকে রাজধানীর দূরুত্ব কমবে ৬০ কিলোমিটার।
তাছাড়া, অর্থনৈতিক, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ এ অঞ্চলের মানুষের জীবন-মান উন্নয়নে প্রসার ঘটবে।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে এ প্রকল্পটি অনুমোদন করে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
শিডিউল অনুযায়ী অর্থ ছাড়ের পর ২০১৪ সালের ২৫ জানুয়ারি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়।
দীর্ঘ নির্মাণকাল পেরিয়ে ৪ দফা উদ্বোধনের সময় পিঁছিয়ে উদ্বোধন করা হলো ‘মাওলানা ভাসানী সেতু’।