ঝিনাইগাতীতে চার্চের সাইনবোর্ড দিয়ে বন বিভাগের জমি দখল

আইন আদালত ময়মনসিংহ রাজনীতি সারাদেশ
শেয়ার করুন....,

ঝিনাইগাতীতে চার্চের সাইনবোর্ড

দিয়ে বন বিভাগের জমি দখল

আব্দুল লতিফ, ঝিনাইগাতীঃ

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গজনী বিটে সরকারি বনভূমি জবরদখলকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।

বনবিভাগের জায়গায় ব্যাপটিস চার্চের সাইনবোর্ড টানানো এবং বনবিভাগের বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমে স্থানীয় গারোদের বাধা দেওয়ার ঘটনায় পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করেছে।

বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত ৮ আগস্ট বন সংরক্ষক (কেন্দ্রীয় অঞ্চল) এ.এস.এম. জহির উদ্দিন আকন গজনী বিটের প্রাকৃতিক বনাঞ্চল ও সৃজিত বাগান পরিদর্শনকালে ২নং খতিয়ানভুক্ত গজনী মৌজার বিআরএস দাগ নং ৩১৭-এর প্রায় ৩৫–৪০ শতাংশ জমি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ দখলে রয়েছে বলে দেখতে পান।

ওই জমিতে তখন ‘ব্যাপটিস চার্চের ফল বাগান’ শিরোনামে একটি সাইনবোর্ডও স্থাপন করা ছিল।

এটা যেনো বনভূমি দখলের একটি নতুন কৌশল। পরিদর্শন শেষে তিনি ওই জমিতে পুনরায় বৃক্ষরোপণের নির্দেশ দেন।

নির্দেশনা অনুযায়ী ১১ আগস্ট দুপুরে রাংটিয়া রেঞ্জের কর্মকর্তারা সেখানে চারা রোপণ শুরু করলে স্থানীয় গারো সম্প্রদায়ের ৮০–৯০ জন নারী-পুরুষ বাধা দেন। তারা রোপণকৃত চারা উপড়ে ফেলে বনকর্মীদের কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। একপর্যায়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে সংঘর্ষ এড়াতে বন কর্মকর্তারা সরে আসেন।

গজনী বিট কর্মকর্তা মো. তহিদুল ইসলাম বলেন, ‘উক্ত জমি শতভাগ বনবিভাগের। সেখানে কোনো শতবর্ষী ফলজ গাছের অস্তিত্ব নেই।’ রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল করিম জানান, ‘বনভূমি উদ্ধারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।’

অন্যদিকে ব্যাপটিস চার্চের সভাপতি পজন্মাথন বনোয়ারী দাবি করেন, ‘তারা বহু বছর ধরে ওই জমিতে ফলদ বাগান ও সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। তাদের মতে, এটি চার্চের বৈধ দখলে রয়েছে এবং বনবিভাগের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি থেকেই এ বিরোধের সূত্রপাত।’

এ ঘটনায় স্থানীয়রা নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে বনভূমির প্রকৃত মালিকানা নির্ধারণ করে প্রশাসনের দ্রুত সমাধান কামনা করেছেন।


শেয়ার করুন....,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *