
বাংলাদেশ–নেপাল ম্যাচে হামজার
জোড়া গোলের পর হতাশার ড্র
ক্রিয়া প্রতিবেদকঃ
নেপালের বিপক্ষে ২–২ সমতার পর এবার বাংলাদেশের অপেক্ষা ভারত–ম্যাচের জন্য। ১৮ নভেম্বর জাতীয় স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে দুই দল। সেটি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ।
বাংলাদেশ, ভারত দুই দলেরই অবশ্য এশিয়ান কাপে খেলার স্বপ্ন এরই মধ্যে শেষ হয়ে গেছে। তবে দুই প্রতিবেশীর ম্যাচটি মর্যাদার লড়াই। দর্শক–আগ্রহও বিপুল। এ সপ্তাহে অনলাইনে টিকিট ছাড়ার ৬ মিনিটের মধ্যে ‘সোল্ড আউট’ হয়ে যাওয়া যার বড় প্রমাণ।
মঙ্গলবারের ‘হাইভোল্টেজ’ ম্যাচটির ধারাভাষ্যে আগাম আমন্ত্রণ জানিয়ে আজ এখানেই বিদায়। বাংলাদেশ–নেপাল ম্যাচের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পাবেন কিছুক্ষণের মধ্যেই।
যে ম্যাচে শুধুই হামজা চৌধুরী
বাংলাদেশ ২:২ নেপাল
প্রথমার্ধে একটি, দ্বিতীয়ার্ধে আরেকটি—ম্যাচের দুই অংশেই গোল হজম করেছে বাংলাদেশ। ম্যাচজুড়ে বাংলাদেশের একচ্ছত্র দাপট ছিল শুধু দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে। সেই সময়েই ৪৬ ও ৫০ মিনিটে দুই গোল করেছেন হামজা চৌধুরী। একটিতে সমতা ফিরিয়েছেন, আরেকটিতে দলকে এগিয়ে দিয়ে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে ছিলেন।
কিন্তু ৮০ মিনিট চোট নিয়ে তিনি মাঠ ছেড়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশের রক্ষণভাগ আরও দুর্বল হয়েছে। যোগ করা সময়ে গোল হজম করে মাঠ ছাড়তে হয়েছে ২–২ সমতা নিয়ে।
হামজার প্রথম গোলটি ছিল বাইসাইকেল কিকে।
সমতায় ম্যাচ শেষ
বাংলাদেশ ২:২ নেপাল
রেফারির শেষ বাঁশি বাজল ২–২ স্কোরলাইনে। ম্যাচের পোশাকি নাম ‘ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি’। জয় বা হারের বিশেষ মাহাত্ম নেই। তবে শেষ মুহূর্তের গোল হজমে ড্র হওয়াটা বাংলাদেশের জন্য হতাশারই। বিশেষ করে জয় হাতছাড়া হওয়ায়।
২০২০ সালের ১৩ নভেম্বরের পর বাংলাদেশ আর নেপালকে হারাতে পারেনি। পাঁচ বছর পর আজ আরেকটি ১৩ নভেম্বরে জয়ের কাছাকাছি চলে গিয়েছিল বাংলাদেশ। হামজা চৌধুরীর জোড়া গোল জয়ের সম্ভাবনা জাগালেও ৯৩তম মিনিটের গোলে ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে বাংলাদেশকে।
শেষ মুহূর্তে গোল হজম
বাংলাদেশ ২:২ নেপাল
যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে গোল হজম করল বাংলাদেশ। কর্নার থেকে আসা বলে পা ছুঁইয়ে নেপালকে সমতায় ফিরিয়েছেন অনন্ত তামাং। বাংলাদেশ ২, নেপাল ২।
যোগ করা সময় ৫ মিনিট
নব্বই মিনিটের খেলা শেষ। বাংলাদেশ এগিয়ে ২–১ গোলে। রেফারি জানিয়েছেন, আরও পাঁচ মিনিটের খেলা হবে। ফুটবলের ভাষায় যা ‘অ্যাডেড টাইম’।
হামজা ডাগআউটে
বাংলাদেশ ২:১ নেপাল
হামজাকে আচমকাই তুলে নিতে হয়েছে সামনের ভারত ম্যাচ সামনে রেখে। উঠে যাওয়ার পর ডাগআউটে বসেছেন তিনি। পায়ে আইসপ্যাক। ক্যামেরায় ধারণ করা দৃশ্যে তাঁকে নির্ভারই দেখা যাচ্ছে।
হামজার জোড়া গোলে ম্যাচে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।
হামজার বদলি কিউবা
বাংলাদেশ ২:১ নেপাল
৮০তম মিনিটে হামজা চৌধুরীকে উঠিয়ে নিয়েছেন বাংলাদেশ কোচ। সিদ্ধান্তটা অবশ্য একপ্রকার বাধ্য হয়ে নেওয়া। ছোটখাট চোট পেয়েছেন তিনি। প্রাথমিক চিকিৎসার পরই তাঁকে উঠিয়ে নেওয়া হয়।
এর আগ পর্যন্ত অধিনায়ক জামালকে তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল কাবরেরার। হাতের বাহুবন্ধনীও খুলে ফেলেছিলেন তিনি। কিন্তু হামজা উঠিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তের কারণে জামালকে মাঠে রেখে দেওয়া হয়েছে।
হামজার বদলি হিসেবে মাঠে নেমেছেন কিউবা মিচেল। ১৯ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডারের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ এটি।
বাংলাদেশের তিন বদলি
বাংলাদেশ ২:১ নেপাল
ম্যাচের সত্তরতম মিনিটে তিনটি পরিবর্তন এনেছেন বাংলাদেশ কোচ কাবরেরা। নেমেছেন শাকিল আহাদ তপু, শাহরিয়ার ইমন ও মোহাম্মদ হৃদয়। এর আগে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে নেমেছিলেন শমিত সোম।
ওভারহেড কিক!

আবারও হামজার গোল
বাংলাদেশ ২:১ নেপাল
সমতা আনার তিন মিনিট পর ম্যাচে এগিয়েও গেল বাংলাদেশ। এবার পেনাল্টি থেকে গোল করেছেন হামজা চৌধুরী।
৪৮তম মিনিটে রাকিব হোসেন নেপাল বক্সে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় বাংলাদেশ। স্পট কিক নিতে যান হামজা।
ঠাণ্ডা মাথায় হামজার নেওয়া পানেনকা শটে ভুল দিকে ঝাঁপিয়েছেন নেপাল গোলকিপার কিরন কুমার। বল গেছে জালে। বাংলাদেশ ২, নেপাল ১।

হামজার গোল
বাংলাদেশ ১:১ নেপাল
বিরতির পর প্রথম মিনিটেই গোল পেয়ে গেল বাংলাদেশ। এনে দিলেন হামজা চৌধুরী। ওভারহেড কিকে করা দুর্দান্ত গোলটিতে ১–১ সমতায় ফিরেছে বাংলাদেশ।
ডান পাশ থেকে ফাহিমের ক্রস নেপালের এক খেলোয়াড় হেডে বিপদমুক্ত করতে চেয়ে ছিলেন, সেই বল বক্সের বাইরে পেয়ে যান জামাল ভূঁইয়া। তাঁর বাড়ানো বল ওভারহেড কিকে জালে পাঠিয়েছেন হামজা। বাংলাদেশ দলের হয়ে তৃতীয় গোল তাঁর।

হতাশা নিয়ে প্রথমার্ধের বিরতিতে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ ০:১ নেপাল
প্রথমার্ধটা ভালো কাটেনি বাংলাদেশের। গোছানো আক্রমণ দেখা যায়নি, গোলও আসেনি। উল্টো গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়েছে দল।
দু-তিনটি আক্রমণ করলেও নেপালের রক্ষণ ভাঙতে পারেনি বাংলাদেশ। এর মধ্যেই ২৯ মিনিটে নেপালের ডিফেন্ডার সুমিত শ্রেষ্ঠার চমৎকার কাটব্যাক থেকে বাংলাদেশের জাল কাঁপিয়েছেন রোহিত চাঁদ। জাতীয় দলে ১০২তম ম্যাচে তাঁর দ্বিতীয় গোল এটি।
পিছিয়ে পড়ার পর বাংলাদেশ আক্রমণে ধার বাড়ায়। তবে বিরতিতে যাওয়ার আগে আক্রমণে কিছুটা গতি দেখা গেলেও আসল কাজটি হয়নি। বাংলাদেশ বিরতিতে গেছে এক গোলে পিছিয়ে থেকে।
ফাহিমের হেড সরাসরি গোলকিপারের হাতে
বাংলাদেশ ০:১ নেপাল
৪৪তম মিনিটে ক্রস থেকে পাওয়া বলে হেড নিয়েছিলেন ফাহিম। কিন্তু সেটি সরাসরি নেপাল গোলকিপার কিরন কুমারের হাতে। ফাহিম ছিলেন বক্সের ডান পাশে। বাঁ পাশে ফাঁকায় ছিলেন জামাল ভূঁইয়া। কিন্তু বল পাননি তিনি।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময় দেওয়া হয়েছে ৩ মিনিট।
পিছিয়ে পড়ল বাংলাদেশ
বাংলাদেশ ০:১ নেপাল
ম্যাচের ২৯তম মিনিটে পিছিয়ে পড়ল বাংলাদেশ। চাপের মধ্যে থাকা নেপাল আচমকাই বল নিয়ে ঢুকে যায় বাংলাদেশের রক্ষণে। সুমিত শ্রেষ্ঠার কাট ব্যাক থেকে বল পেয়ে নিচু শটে বল জালে জড়িয়েছেন রোহিত চাঁদ।
রোহিত শট নেওয়ার আগে বল গেছে সোহেল রানা সিনিয়রের সামনে দিয়ে। তিনি পা বাড়িয়েও বল নিতে পারেননি। এরপর জটলার ভেতর দিয়েই বল চলে গেছে জালে।

সুযোগ এসেছিল!
বাংলাদেশ ০:০ নেপাল
২৬তম মিনিটে গোলের সম্ভাবনা তৈরি করেছিল বাংলাদেশ। নেপাল বক্সের কাছাকাছি ফাহিমের পা হয়ে বল গিয়েছিল রাকিবের কাছে। ফাহিম ফিরতি বল পেলেও নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি। নেপাল গোলকিপার বল নিজের নাগালে নিয়েছেন।
আরেকটি কর্নার
বাংলাদেশ ০:০ নেপাল
২০তম মিনিটে ম্যাচের দ্বিতীয় কর্নার পেয়েছে বাংলাদেশ। জামাল এবার কর্নার নিয়েছেন বক্সেই। নেপাল গোলকিপার জায়গা ছেড়ে সামনে এসে হাতে নিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি। বাংলাদেশের কেউও অবশ্য সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি।
খেলা চলছে মাঝমাঠে
বাংলাদেশ ০:০ নেপাল
নিচ থেকে আক্রমণে ওঠার চেষ্টায় আছে বাংলাদেশ। লং শট কমই খেলছেন মিডফিল্ডাররা। দশম মিনিটে ডান দিক থেকে ফাহিম ক্রস ফেলেছিলেন নেপালের বক্সে। সোহেল রানা লাফিয়ে চেষ্টা করলেও হেডে নিতে পারেননি। ম্যাচের স্কোরলাইনও তাই শুরুর জায়গাতেই।
প্রথম কর্নার বাংলাদেশের
বাংলাদেশ ০:০ নেপাল
ম্যাচের প্রথম কর্নার পেয়েছে বাংলাদেশ। চতুর্থ মিনিটে সেই কর্নার ঠেকাতে নেপালের রক্ষণভাগ বেশ সময়ই নিয়েছে। তবে বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া লম্বা করে বল বক্সে বাড়াননি, নিয়েছেন শটস কর্নার। বল অবশ্য গোলমুখ পর্যন্ত যায়নি, তার আগেই প্রতিহত হয়েছে নেপাল–রক্ষণে।
কিক অফ
খেলা শুরু হয়েছে ঠিক আটটায়। বাংলাদেশ দল খেলছে সাদা জার্সিতে, নেপাল নীলে।

সেই ১৩ নভেম্বর
বাংলাদেশের জন্য নেপাল চেনা প্রতিপক্ষ। গত পাঁচ দুই দল মুখোমুখি হয়েছে ৬ বার। এর মধ্যে সর্বশেষ ৫ ম্যাচেই জয়হীন বাংলাদেশ। নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বশেষ জয় ৫ বছর আগে। ২০২০ সালের ঠিক আজকের দিনে, ১৩ নভেম্বর জাতীয় স্টেডিয়ামে ২–০ গোলে জিতেছিল বাংলাদেশ। গোল করেছিলেন মাহবুবুর রহমান সুফিফ ও নাবীব নেওয়াজ জীবন।
সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচের তিনটি ড্র হয়েছে, দুটিতে জিতেছে নেপাল।
কিউবা, শমিত বেঞ্চে
প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে ডাক পাওয়া কিউবা মিচেলকে মাঠে নামতে আরেকটু অপেক্ষা করতে হচ্ছে। তাঁকে বেঞ্চে রেখেছেন কোচ। বেঞ্চে আছেন শমিত সোমও। কানাডায় সোমবার ক্যাভালরি এফসির হয়ে খেলে মঙ্গলবার রাতে ঢাকায় পৌঁছেছেন তিনি।
এ দুজন ছাড়াও বদলি তালিকায় আছেন শ্রাবণ, শাকিল, তপু, হৃদয়, আল আমিন, ইমন, সুজন, তাজ, আরমান, কাজেম, ওমর ও মোরশেদ।
এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ও নেপাল দুই দলের খেলোয়াড়েরা মাঠে। কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হচে ম্যাচ–শুরুর আনুষ্ঠানিকতা।
একাদশে তিন পরিবর্তন
সর্বশেষ ১৪ অক্টোবর হংকং ম্যাচের একাদশ থেকে তিনটি পরিবর্তন এনেছেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। বাদ পড়েছেন শেখ মোরছালিন, শমিত সোম ও শাকিল আহাদ। ফিরেছেন সোহেল রানা জুনিয়র, জামাল ভূঁইয়া ও ফয়সাল আহমেদ।
বাংলাদেশ একাদশ
মিতুল মারমা (গোলরক্ষক), তারিক কাজী, তপু বর্মণ, জামাল ভূঁইয়া, সাদ উদ্দিন, জায়ান আহমেদ, হামজা চৌধুরী, সোহেল রানা, সোহেল রানা (সিনিয়র), রাকিব হোসেন ও ফয়সাল আহমেদ।
স্বাগত
বাংলাদেশ–নেপাল ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচের লাইভ ব্লগে আপনাদের স্বাগত। জাতীয় স্টেডিয়ামে রাত ৮টায় শুরু হতে যাওয়া নেপালের বিপক্ষে ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য অনেকটাই ‘প্রস্তুতিমূলক’। ১৮ নভেম্বর এ মাঠেই ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ।
নেপালের সঙ্গে আজকের আগে ২৫ ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। যেখানে জয় ১৩টিতে, হার আটটি, ড্র হয়েছে চার ম্যাচ।