
সাংবাদিক নির্যাতনকারী কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসির হাইকোর্ট থেকে জামিন
মোঃ এনামুল হক বিপ্লব, কুড়িগ্রামঃ
কুড়িগ্রামে সাংবাদিক নির্যাতন মামলায় সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) সুলতানা পারভীনকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি ইউসুফ আবদুল্লাহ সুমনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন হাইকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট ফয়জুল্লাহ ফয়েজ ও ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান।
অন্যদিকে সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিগানের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান।
রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবি।
এর আগে, ৮ সেপ্টেম্বর সোমবার সাংবাদিককে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সুলতানা পারভীনের জামিন আবেদনের ওপর আদেশের জন্য মঙ্গলবার দিন নির্ধারণ করেছিলো হাইকোর্ট।
বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি ইউসুফ আব্দুল্লাহ সুমনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
উল্লেখ্য ২০২০ সালের ১৩ মার্চ রাতে সাংবাদিক আরিফুল ইসলামের বাসায় অভিযান চালায় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
প্রশাসনের একটি পুকুরের নামকরণ ও বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশের জেরে তাকে চোখ বেঁধে তুলে নিয়ে নির্যাতন করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, এ সময় তাকে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ হত্যার হুমকি দেওয়া হয় এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়।
পরে আরিফুলের বিরুদ্ধে আধা বোতল মদ ও দেড়শ গ্রাম গাঁজা রাখার অভিযোগে তাৎক্ষণিকভাবে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
ঘটনাটিতে তৎকালীন জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন সহ আরডিসি নাজিম উদ্দিন, এনডিসি রাহাতুল ইসলাম ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ওঠে।
ঘটনার পর প্রশাসন ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে।
পরে জামিনে মুক্তি পান সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম। মুক্তির পর তিনি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন।
চাঞ্চল্যকর সেই মামলায় কুড়িগ্রাম জেলা দায়রা জজ আদালতে জামিন নিতে আসলে গত ২ সেপ্টেম্বর আদালত ডিসি সুলতানা পারভীনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠায়।
গত ৭ দিন কোন প্রকার ডিভিশন না নিয়েই তিনি কুড়িগ্রামের কারাগারে আছেন।