গৌরীপুরে গৃহবধূ হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন

আইন আদালত জাতীয় দুর্ঘটনা ময়মনসিংহ সারাদেশ
শেয়ার করুন....,

গৌরীপুরে গৃহবধূ হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন

হুমায়ুন কবির গৌরীপুরঃ

 

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে গৃহবধূ মোছাঃ শেফালী আক্তারকে হত্যা ও আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

 

সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় গৌরীপুর উপজেলা পরিষদের সামনে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

মানববন্ধনে এলাকাবাসী, সামাজিক সংগঠন ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

 

এতে বক্তব্য রাখেন-আব্দুল কদ্দুস, জিয়াউর রহমান, আলমগীর হোসেন ও লিটন মিয়া প্রমুখ।

বক্তারা অভিযোগ করেন যে গৌরীপুর থানার এসআই ফেরদৌস শেফালীর উপর হামলা করার পর সাধারন ডায়রি করার জন্য উৎকোচ গ্রহন করেন।

এবিষয়ে গৌরীপুর থানার ওসি দিদারুল হোসেন জানিয়েছেন সাধারন ডায়রি করার বিষয় টাকা গ্রহন করার বিষয়ে তাকে কেউ অভিযোগ করেনি।

বক্তারা অবিলম্বে শেফালী আক্তার হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

মামলার এফআইআর থেকে জানা গেছে, শেফালী আক্তার (৩২) ময়মনসিংহের গৌরীপুর থানাধীন ৪নং মাওহা ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার স্বামীর নাম মোঃ কাজল মিয়া।

এর আগে শেফালীর পিতা আব্দুল কদ্দুস বাদী হয়ে গৌরীপুর থানায় ৮ জনকে বিবাদী করে একটি মামলা দায়ের করেন (মামলা নং- ০১, তারিখ: ০২/১০/২০২৫)। মামলায় বাদী আঃ কদ্দুস অভিযোগ করেন যে, বিবাদী আমার মেয়ের স্বামী মোঃ শাহজাহান মিয়া, মোছাঃ আম্বিয়া, মোছাঃ কবিতা আক্তার ও মোঃ রবিকুল ইসলাম পারিবারিক বিরোধের জের ধরে শেফালীর ওপর হামলা চালায়।

 

হামলায় শেফালীর মাথায় চাপাটি দিয়ে কুপিয়ে কাটা জখম সহ হাত-পায় কাটিয়া হাড় ভেঙ্গে ফেলে। ২০২৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর সকাল ৯.৩০ মিনিটের দিকে নিজের বসতবাড়িতে ওই হামলার ঘটনা ঘটে।

 

এসময় তারা ঘরে থাকা শেফালীর ৫০০০০ হাজার টাকাসহ ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করিয়া আনুমানিক ১০০০০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে। এতে শেফালীকে গুরুতর আহত হয়।

অভিযোগে বলা হয়, হামলার সময় বিবাদীরা শেফালীকে মারধর, কামড় ও হত্যার হুমকি দেয়।

 

স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় তিনি প্রাণে রক্ষা পান।

ঘটনার পর থেকে তিনি ও তার পরিবার অব্যাহতভাবে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকির মধ্যে ছিলেন।

 

পরে আহত
অবস্থায় স্থানীয় লোকজন উদ্ধার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।

ওইদিনে শেফালীর অবস্থা অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে প্রেরন করেন। সেখানে ১৮ দিন চিকিৎসা চলাকালীন সময় ১৪ অক্টোবর মৃত্যু বরন করেন।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, মামলার পরও দীর্ঘ সময় পার হলেও আসামিরা এখনও আইনের আওতায় আসেনি। তারা দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে ন্যায়বিচার নিশ্চিতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।


শেয়ার করুন....,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *