গজারিয়ায় বাস চাপায় ছাত্রী নিহতের ঘটনায় মামলা দায়ের

আইন আদালত জাতীয় ঢাকা দুর্ঘটনা সারাদেশ
শেয়ার করুন....,

গজারিয়ায় বাস চাপায় ছাত্রী

নিহতের ঘটনায় মামলা দায়ের

ওসমান গনি, মুন্সীগঞ্জঃ

মুন্সীগঞ্জ গজারিয়া উপজেলা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বাউশিয়া এলাকায় যাত্রীবাহী গাড়ি চাপায় গজারিয়া সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী শ্রাবন্তি নিহতের ঘটনায় গজারিয়া থানায় মামলা রুজু হয়েছে।

শ্রাবন্তির ঘাতক গাড়ির চালক ও সহকারীকে গ্রেপ্তার ও বিচারসহ বিভিন্ন দাবিতে গজারিয়া সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

নিহত শিক্ষার্থী শ্রাবন্তি আক্তারের মা লিপি বেগম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

গজারিয়ার ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশের এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

আরো পড়ুনঃ

কুষ্টিয়ায় বিএনপি নেতাকে হাতুড়িপেটা-কার্যালয় ভাংচুরের অভিযোগ

 

ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, স্টার লাইন পরিবহনের যাত্রীবাহী ঘাতক বাসটি ভবেরচর এলাকার একটি রেস্তোরাঁর সামনে থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় জব্দ করা হয়েছে।

মামলার আসামি অজ্ঞাত চালক ও চালকের সহকারী পলাতক রয়েছে। তাদের আটকের জন্য পুলিশ অভিযান পরিচালনা করছে।

মামলা এজাহার ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গতকাল শনিবার সকালে গজারিয়া সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী শ্রাবন্তি আক্তারকে (১৪) কলেজের সামনের মহাসড়কে চাপা দিয়ে গুরুতর আহত করে কুমিল্লা থেকে ঢাকাগামী স্টার লাইন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস।

আহত শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস সংলগ্ন মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে।

এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা কয়েকটি যানবাহনের জানালার কাঁচ ভাঙচুর করে। নিহত শ্রাবন্তি গজারিয়া উপজেলার চরবাউশিয়া বড়কান্দী গ্রামের হানিফ মিয়ার মেয়ে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, স্কুলের সামনের মহাসড়ক পারাপারের সময়ে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কুমিল্লা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী স্টার লাইন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস শিক্ষার্থীকে চাপা দেয়। দুর্ঘটনার পরপর সকাল পৌনে ৮টা থেকে পরবর্তী দেড় থেকে দুই ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা।

এতে প্রায় দুই ঘণ্টা মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম জানান, গাড়ি চাপায় শিক্ষার্থী হত্যার বিচার ও তার পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান, তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনের মহাসড়কে ফুটওভার সেতু নির্মাণসহ কয়েকটি দাবি আদায়ের জন্য মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছিল শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে তাদের যৌক্তিক দাবি পূরণে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে।

গজারিয়া সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. হাফিজুর রহমান জানান, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও দায়িত্বশীল সেনা কর্মকর্তার উপস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের মধ্যে একটি ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।


শেয়ার করুন....,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *