
লাকসামে সেলুন ব্যবসায়ী
সমিতির বিশ্বর্কমা পূজা পালিত
দেবব্রত পাল বাপ্পী, লাকসামঃ
১৭ সেপ্টেম্বর বুধবার লাকসাম পৌরশহরের দৌলতগঞ্জ বাজার শ্রী শ্রী মুক্তিকেশি কালী বাড়ি প্রাঙ্গনে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও আনন্দঘন পরিবেশে লাকসাম সেলুন ব্যবসায়ী সমিতির আয়োজনে শ্রী শ্রী বিশ্বকর্মা পূজা উদযাপিত হয়েছে। পূজাটি পরিচালনা করেন সজীব চক্রবর্তী।
জানা যায়, হিন্দুধর্মালম্বী মানুষের বিশ্বাসনুযায়ী বিশ্বকর্মা ঠাকুর হলেন নির্মাণের দেবতা। তাই বিশ^কর্মা ঠাকুরদের আপনারা একজন বাস্তুকার বার মাস্টার ইঞ্জিনিয়ার বলতে পারেন। মাস্টার ইঞ্জিনিয়ার এই জন্যই বলছি কারন তিনি শুধু বিশেষ ধরনের একই রকমের নির্মাণ কার্যেই পটু ছিলেন না।
বিশ্বকর্মা ঠাকুর বিভিন্ন দেবী ও দেবতার প্রাসাদ, যুদ্ধের অস্ত্র ও শস্ত্র ছাড়াও ভগবান শ্রীকৃষ্ণের দ্বারিকা নগরী, পান্ডবদের ইন্দ্রপ্রস্থ শহর রাবনের পুস্পকরথ ও সোনার লঙ্কানগরী বিশ্বকর্মা ঠাকুর নিজের হাতে গড়ে ছিলেন। তাই হিন্দু ধর্মালম্বী মানুষেরা সৃজনশীল বিশ্বকর্মা ঠাকুরকে শ্রদ্ধা ও ভক্তিভরে নির্মানের দেবতা হিসাবে পূজা করে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা, সেলুন ব্যবসায় জড়িত যারা তাদের ব্যবহৃত কেচি, ক্ষুর যাবতীয় জিনিসপত্র বিশ^কর্মা ঠাকুরের চরনে অর্পিত করেছেন।
আরো পড়ুনঃ
এছাড়া লোহালক্কার ও কম্পিউটার, যানবাহন ও বিভিন্ন পেশায় যারা জড়িত তারা বিশ্বকর্মা দেবতার নিকট প্রার্র্থনা করেছেন আমরা যেন ভালভাবে হাতের কাজ করে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতে পারি। দুপুরে সকলেই মন্ত্র উচ্চারনের মাধ্যমে বিশ্বকর্মা দেবতার চরণে পুস্পাঞ্জলি দিয়েছেন।
লাকসাম সেলুন ব্যবসায়ী সমিতির পূজা উদযাপন কমিটির লোকজন দুপুরে ভক্তবৃন্দের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ যথাক্রমে-বিজন মজুমদার, কার্তিক চন্দ্র দাস, মানিক দাস, আচু দাস, রঞ্জিত দাস, বিশ্বজিত শীল বিশু, নির্মল শীল, জীবন শীল, কার্তিক চন্দ্র শীল, বিপ্লব চন্দ্র শীল, কৃষ্ণ চন্দ্র শীল, পলাশ চন্দ্র শীল, গণেশ শীল প্রমুখ।