লক্ষ্মীপুরে গৃহপারিচারিকা ধর্ষণ-জবাবে পাল্টা গনধর্ষণ মামলায় কারাগারে-৩

আইন আদালত চট্টগ্রাম সারাদেশ
শেয়ার করুন....,

লক্ষ্মীপুরে গৃহপারিচারিকা ধর্ষণ-জবাবে পাল্টা গনধর্ষণ মামলায় কারাগারে-৩

তাবারক হোসেন আজাদ, লক্ষ্মীপুরঃ

নারী ইউপি সদস্যের ঘরে গৃহপারিচারিকার কাজ করতো সুমি আক্তার (ছদ্ম নাম) (১৪)।

গত ৬ জুলাই রাতে ইউপি সদস্যের অনুপুস্থিতিতে সুমিকে ধর্ষণ করে একই বাড়ীর আবদুল জলিল সর্দারের ছেলে বখাটে মোঃ সজিব (১৯)।

এ ঘটনায় বিচার না পাওয়ায় সুমির পিতা আবদুর রহমান বাদী হয়ে সজিব ও ইউপি সদস্য ফাতেমাকে আসামি করে গত ১২ জুলাই রায়পুর থানায় ধর্ষণ মামলা করেন।

আবদুর রহমানের দায়ের করা ধর্ষণ মামলার ৫দিন পরই (১৭ জুলাই/০২৫) ইউপি সদস্য পারভিনের প্ররোরচনায় পড়ে একই এলাকার সিপাতের স্ত্রী জোসনা আক্তার (২২) তারই বড় ভগ্নিপতিসহ তিন জন কৃষককে আসামি করে লক্ষ্মীপুর আদালতে গণধর্ষণ মামলা করেছেন।

জোসনা আক্তারের দায়ের করা গনধর্ষণ মামলায় সোমবার (১৮ আগষ্ট) লক্ষ্মীপুর আদালতে হাজিরা দিতে গেলে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট জামায়াত ইসলামের রায়পুরের দক্ষিন চরবংশী ইউপির যুব বিভাগের সভাপতি ও একই এলাকার ইউনুস হাওলাদারের ছেলে নুর আলম (৩০), একাই এলাকার ওহাব আলি সরদারের ছেলে কৃষক মোঃ জালাল (৩২) ও মাহমুদ আলি সৈয়ালের ছেলে কৃষক আবদুস সোবহানের (৩৫) জামিন না মন্জুর করে কারাগারে পাঠান।

সেই সঙ্গে ৩ আসামি ও বাদী জোসনার ডিএনএ টেষ্ট করার নির্দেশ দিয়েছেন। কৃষক আবদুর রহমানের মেয়ে গৃহপারিচারিকা র ধর্ষণ মামলায় দক্ষিন চরবংশী ইউপি সদস্য ও নুরু সরদারের স্ত্রী পারভিন বেগম এবং ধর্ষক সজিব ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন।

পৃথক “ধর্ষণ ও গণধর্ষণ” মামলার ঘটনায় পুরো দক্ষিন চরবংশী ইউনিয়ন (মোল্লারহাট বাজার) এবং উপজেলায় ক্ষোভ ও তোলপাড় চলছে।

গৃহপারিচারিকার পিতার মামলার এজাহারে অভিযোগ করেছেন, তাদের বসতঘরের এক’শ হজ দূরেই নারী ইউপি সদস্য পারভিন বেগমের বসতঘরে গত ৩ মাস ধরে গৃহপারিচারিকার কাজ করে সুমি আক্তার (১৪)।

গত ৬ জুলাই রাতে পারভিনের অনুপুস্থিতিতে কৌশলে তাঁর ঘরে ঢুকে সুমিকে হাত-পা-মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে সজিব।

এঘটনায় পারভিনসহ অভিভাবকের কাছে সজিবের বিচার দাবি জানায় আবদুর রহমান।

বৈঠকের বিচারে দোষি সাবস্ত করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় সজিবের। রাজি না হওয়ায় সুমিসহ তার পরিবারকে হত্যা হুমকি দেয় পারভিন ও সজিব। নিরুপায় হয়ে সজিবকে আসামিকরে থানায় মামলা করা হয়।

জোসনা আক্তার তার মামলার এজাহারে অভিযোগ করেছেন, গত ১৭ জুলাই মধ্য রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে বসতঘরের বাহিরে যান তিনি।এসময় তার বড় ভগ্নিপতি সহ তিন আসামি হাত-পা ওড়না দিয়ে বেঁধে জোড়পুর্বক পালাক্রমে গনধর্ষণ করেন তাকে। তিনি চিৎকার দিলে আসামিরা পালিয়ে যায়।

এ সময় ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করলে হাজিমারা ফাঁড়ি পুলিশ সদস্যরা আহত জোসনাকে উদ্ধার করে তার বসতঘরে নিয়ে রেখে চলে যান।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও গনধর্ষণ মামলার ১নং আসামি নুর হোসেনের স্ত্রী ফাতেমা জানান, কৃষক আবদুর রহমানের মেয়ে ধর্ষণ হয়েছে, তা সঠিক।

তবে এই মামলাটি নুর হোসেনসহ তিন আসামি সহযোগিতা করায় ইউপি সদস্য পারভিন তার স্বজন জোসনা আক্তারকে দিয়ে মিথ্যা গনধর্ষণ মামলা সাজিয়ে নুর হোসেনসহ তিন আসামিকে চরমভাবে হয়রানি করছেন।

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন ভুইয়া বলেন, গৃহপারিচারিকা ধর্ষণের মামলার আসামি ইউপি সদস্য পারভিন আক্তার ও ধর্ষক সজিব পলাতক রয়েছেন। একই এলাকার জোসনা আক্তারের আদালতে করা গনধর্ষণ মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। এই মামলায় সোমবার নুর হোডেনসহ তিন আসামি আদালতে আত্নসমর্পন করতে গেলে বিচারক কারাগারে পাঠিয়েছেন। এই মামলাটি পিবিআই (নোয়াখালি) তা তদন্ত করছেন।

সাবেক কুমিল্লা-৯ পুনর্বহালের দাবিতে লালমাইয়ে বিএনপির মশাল মিছিল


শেয়ার করুন....,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *