
লাকসাম প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে প্রয়াত সাংবাদিকের কবর জিয়ারত
দেলোয়ার হোসেন, লাকসামঃ
২ জুলাই (বুধবার) লাকসামের বহুল প্রচারিত সাপ্তাহিক আলোর দিশারী পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক প্রয়াত শামসুল করিম দুলালের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে লাকসাম প্রেসক্লাবের প্রতিনিধি দল মরহুমের কবর জেয়ারত করেছেন।
লাকসামের সাংবাদিকতা জগতের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করা শামসুল করিম দুলালের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কান্দির পাড় ইউনিয়নের সিংজোড় গ্রামে মরহুমের কবরে জেয়ারত করেন লাকসাম প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দ মুজিবুর রহমান দুলাল, লাকসাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আল সারাহ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের সদস্য শাহ নুরুল আলম, নাজমুল হাসান, জাহিদুল ইসলাম, জি.এম.এস রুবেল, মোঃ আমজাদ হোসেন, মোঃ নাজমুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, আনোয়ারুল আজীম প্রমুখ।
২০১৭ সালের এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন সাহসী সাংবাদিক শামসুল করিম দুলাল মৃত্যু বরণ করেন। মৃত্যুর পরবর্তী সময়েও তিনি শ্রদ্ধার আসনে অবস্থান করছেন সকলের মনে প্রাণে। এর কারণ হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় অসামান্য অবদানকে ভাবা হয়।
লাকসাম প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস স্মৃতিচারণ করে বলেন, দুলাল আমার স্নেহের ছোটভাই ও প্রিয় সহকর্মী ছিলেন, তার চিন্তাশক্তি, মেধাশক্তি, কাজের ধরণ এবং দূরদর্শী ভাবনায় অসংখ্য অগণিত মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন।
স্মৃতিচারন করতে গিয়ে কালের কন্ঠ প্রতিনিধি সৈয়দ মুজিবুর রহমান দুলাল বলেন, শামসুল করিম দুলাল বলতেন আমরা ভয়কেও ভয় করিনা, এমন সাহসী সাংবাদিকের মৃত্যুতে আমরা শোক প্রকাশ করছি, তার পরিবারের যেন শোক সাইবার সামর্থ্য দেয় আল্লাহ সে দোয়া করি এবং দুলালের আত্মার চিরশান্তি কামনা করছি।
প্রয়াত শামসুল করিম দুলালের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকীতে লাকসাম প্রেসক্লাবের পক্ষে শোক প্রকাশ করে প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আল সারাহ বলেন, দুলাল ভাইয়ের স্মৃতি অমলিন, কতো স্মৃতি উনার সাথে তা বলে শেষ করা যাবে না। তিনি সত্য প্রকাশে কখনো আপোষ করতেন না। তার সাহসী পদক্ষেপগুলো অপরাধীদের মনে ভয় ধরাতো, আসহায়ের সহায় হতো, তিনি আমাদের মাতা নিচু না করার শিক্ষা দিয়ে গেছেন।
জানা গেছে সাপ্তাহিক আলোর দিশারী পত্রিকাটি তার সহধর্মিণী ফয়েজুন্নেছা সুমী পরিচালনা করছেন। পত্রিকাটি এখনো শামসুল করিম দুলালের স্মৃতি বহন করে পাঠক হৃদয়ের তৃষ্ণা নিবারন করে যাচ্ছে।