
সুন্দরগঞ্জে শ্যালক-দুলাভাইয়ের
প্ররোচনায় কিশোরীর আত্মহত্যা !
আবু বক্কর সিদ্দিক, গাইবান্ধাঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে চম্পা আক্তার (১৫) নামে এক কিশোরীকে আত্মহত্যার প্ররোচণাকারী শ্যালক-দুলাভাইয়ের বিরুদ্ধে মামালা হয়েছে।
জানা যায়, ১৫ জুন বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে মারা যায় কিশোরী চম্পা আক্তার। সে উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের তালুক সর্বানন্দ গ্রামের বাদশা মিয়ার মেয়ে। চম্পা আক্তারের সঙ্গে প্রেম অতঃপর বিয়ের প্রলোভনে দীর্ঘদিন ধরে কিশোরী চম্পা আক্তারকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে শারিরীক সম্পর্কের মাধ্যমে নারীত্বের সর্বস্ব হরণ করে প্রেমিক সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার বামনজল মহল্লার হাছেন আলীর ছেলে শাকিল মিয়া (২০)।
এরপর চম্পা আক্তারের প্রতিবেশী হাছেন আলীর ছেলে সোনা মিয়া (২৮) শাকিল মিয়ার দুলাভাই হওয়ায় সোনা মিয়ার বাড়িতে আসা-যাওয়ার সুবাদে ও প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে শাকিল ও চম্পা।
একপর্যায়ে, সোনা মিয়ার কথামতো চম্পাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায় শাকিল মিয়া। এর একপর্যায়ে শ্যালক-দুলাভাই মিলে চম্পা আক্তারকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করে। এমনকি, শাকিল মিয়া তার দুলাভাই সোনা মিয়ার মাধ্যমে আগাছা (ঘাস) নিধনের ঔষধ পাঠিয়ে তা সেবন করেতে প্ররোচিত করে। ঔষধ সেবনে অসুস্থ্য হয়ে চিকিৎসা গ্রহণের ১ মাস পর মারা যায় ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী চম্পা আক্তার।
মৃত্যুরপূর্বে চম্পা আক্তারের দেয়া তথ্য সম্বলিত ভিডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে প্রেম অতঃপর বিয়ের নামে সর্বস্ব হরণের পর অবশেষে কিশোরীকে আত্মহননে প্ররোচণার অভিযোগে শ্যালক-দুলাভাইকে আসামী করে মামলা করেন চম্পা আক্তারের মা নুরজাহান বেগম।
থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল লতিফ মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন।
তিনি জানান, আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে নুরজাহান বেগমের মামলার আসামীরা পলাতক রয়েছে। তাদেরকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
https://www.sangbadtoday.com/2025/07/01/%e0%a6%9c%e0%a7%80%e0%a6%ac%e0%a6%a8%e0%a6%a8%e0%a6%97%e0%a6%b0-%e0%a6%87%e0%a6%b8%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%ae%e0%a7%80-%e0%a6%ac%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%82%e0%a6%95%e0%a7%87-%e0%a6%9f/