কুমিল্লায় আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের ৭ জন গ্রেফতার-অস্ত্র ও পিকআপ উদ্ধার

আইন আদালত কুমিল্লা চট্টগ্রাম জাতীয় সারাদেশ
শেয়ার করুন....,

কুমিল্লায় আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের

৭ জন গ্রেফতার-অস্ত্র ও পিকআপ উদ্ধার

কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানা এলাকায় একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্র একত্রিত হয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে।
প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ সুপারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও নির্দেশনায় জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি টিম উক্ত ডাকাত চক্রের গতি-বিধি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে।
তথ্য প্রযুক্তি ও সোর্সের সহায়তায় নিশ্চিত হওয়া যায় যে, ১টি পিকআপে করে প্রায় ১৪/১৫ জনের ডাকাত দল দাউদকান্দি মডেল থানাধীন ইলিয়টগঞ্জ বাজারে ডাকাতি সংঘটনের জন্য অবস্থান করছে।
আজ শুক্রবার ২৬ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম-টু-ঢাকাগামী মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে লক্ষীপুরগামী রাস্তার মাথায় ডাকাত দল পৌঁছালে ডিবি পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টাকালে নীল হলুদ রংয়ের রেজিস্ট্রেশন নম্বরবিহীন পিকআপ গাড়ীসহ পিকআপের ভিতরে থাকা ডাকাত দলের ০৭ জন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। ঐ সময় ডাকাত দলের ০৭/০৮ জন সদস্য পালিয়ে যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের নিকট হতে পিকআপ, দেশীয় অস্ত্র ও ডাকাতির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে, ডাকাত দলের সর্দার মোঃ সাদ্দাম হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার দেওয়া তথ্য মতে বসত ঘরের দরজার পাশে মাটির নিচ হতে একটি দেশীয় তৈরী এলজি (অস্ত্র) ও ০২ (দুই) রাউন্ড বার বোরের কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
বর্ণিত ঘটনায় দাউদকান্দি মডেল থানার মামলা নং-২৯, তারিখ-২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫; ধারা-৩৯৯/৪০২ পেনাল কোড এবং কুমিল্লা এর দাউদকান্দি মডেল থানার মামলা নং-৩০, তারিখ-২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫; ধারা-The Arms Act, 1878 এর 19A/19(f) রুজু হয়।
গ্রেফতারকৃতদের নাম ও ঠিকানাঃ- 
১. মোঃ সাদ্দাম হোসেন (৩২), পিতা-মৃত ওয়াদুদ মিয়া, মাতা-আয়শা বেগম, গ্রাম-টামটা, থানা-দাউদকান্দি মডেল, জেলা-কুমিল্লা:
২. মোঃ সুমন (৩০), পিতা-মৃত কফিল উদ্দিন, মাতা-চেমন আরা খাতুন, গ্রাম-আলেখারচর, থানা-কোতয়ালী মডেল, জেলা-কুমিল্লা:
৩. মোঃ দুলাল মিয়া (২৮), পিতা-আলতাব আলী, মাতা-ফিরোজা বেগম, থানা-বুড়িচং, জেলা-কুমিল্লা:
৪. মোঃ সোলেমান রুবেল (৩৫), পিতা-আবুল কাশেম, মাতা-আম্বিয়া বেগম, গ্রাম-রামপুর, থানা-ফেনী সদর মডেল, জেলা-ফেনী;
৫. ফকির আহমেদ আলাউদ্দিন (৫৫), পিতা-মৃত ইদ্রিস মিয়া, মাতা-মৃত মহিমা খাতুন, গ্রাম-রামেশ্বরপুর পোঃ চাপরাশিরহাট, থানা-কবিরহাট, জেলা-নোয়াখালী:
৬. মামুনুর রশিদ সোহাগ (৩৫), পিতা-মৃত আব্দুল আজিজ, মাতা-মৃত মাকসুদা বেগম, গ্রাম-চর আবাবিল, থানা- রায়পুর, জেলা-লক্ষীপুর;
৭. মোঃ শাহীন (২৫), পিতা-শাহজাহান, মাতা-ফুলী বেগম, গ্রাম-বজলু বাজার, থানা-চরফেশন, জেলা-ভোলা।
ডাকাতদের বিরুদ্ধে পূর্বের রুজুকৃত মামলাঃ-
১. ডাকাত সাদ্দাম এর বিরুদ্ধে ফেনী ও চট্টগ্রাম এর বিভিন্ন থানায় পূর্বের ০৬টি মামলা রয়েছে:
২. ডাকাত সুমন এর বিরুদ্ধে নোয়খালী, ফেনী, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন থানায় পূর্বের ০৭টি মামলা রয়েছে:
৩. ডাকাত মোঃ সোলেমান রুবেল এর বিরুদ্ধে নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন থানায় পূর্বের ০৫টি মামলা রয়েছে;
৪. ডাকাত ফকির আহমেদ পূর্বের ০৬টি মামলা রয়েছে। আলাউদ্দিন এর বিরুদ্ধে গাজীপুর, কুমিল্লা, ফেনী ও চট্টগ্রাম এর বিভিন্ন থানায়
৫. ডাকাত মামুনুর রশিদ সোহাগ এর বিরুদ্ধে নোয়াখালী, চাঁদপুর, লক্ষীপুর জেলার বিভিন্ন থানায় পূর্বের ০৮টি মামলা রয়েছে।
উদ্ধার/জব্দকৃত আলামতের বর্ণনাঃ-
১. একটি রেজিস্ট্রেশন নম্বরবিহীন নীল হলুদ রংয়ের পুরাতন পিকআপ গাড়ি;
২. একটি কমলা রংয়ের লোহার কাটার, যা বাটসহ লম্বা ২৪” (চব্বিশ) ইঞ্চি;
৩. একটি হলুদ রংয়ের লোহার হাইড্রোলিক কাটার, যা বাটসহ লম্বা ১৯” (উনিশ) ইঞ্চি;
৪. একটি কাঠের বাটযুক্ত লোহার ধামা, যা বাটসহ লম্বা ১৯” (উনিশ) ইঞ্চি;
৫. একটি কাঠের বাটযুক্ত লোহার ছেনি, যা বাটসহ লম্বা ২২” (বাইশ) ইঞ্চি;
৬. একটি কাঠের বাটযুক্ত লোহার দা, যা বাটসহ লম্বা ১৮” (আঠার) ইঞ্চি;
৭. ০২ (দুই)টি কাঠের বাটযুক্ত ছুরি, প্রতিটি যা বাটসহ লম্বা ১২১/২” (সাড়ে বার) ইঞ্চি;
৮. একটি দেশীয় তৈরী কাঠের বাটযুক্ত এলজি (অস্ত্র), যা বাটসহ লম্বা ১৩১/২” (সাড়ে তিন) ইঞ্চি;
৯. ২ (দুই) রাউন্ড বার বোর কার্তুজ গুলি।

শেয়ার করুন....,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *