
কুষ্টিয়ায় নারীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার-
পুলিশের সন্দেহ ধর্ষণের পর হত্যা !
হৃদয় রায়হান, কুষ্টিয়াঃ
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে রোকেয়া খাতুন নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন রেল সেতুর নিচ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত রোকেয়া খাতুন ওই এলাকারু আব্দুল ওহাবের স্ত্রী। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, ওই নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার সকাল ৬টার দিকে নন্দলালপুর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন রেলসেতুর নিচে অজ্ঞাত এক নারীর রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা।
পরে মরদেহটি সনাক্ত করেন তার ছেলে মো. রাসেল। বেলা ১১টার দিকে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহতের ছেলে রাসেল বলেন, মা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। কয়েকদিন আগে বাড়ি থেকে বের হয়ে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। শুক্রবার সকালে গোয়ালনন্দ রেলস্টেশনে তাকে দেখা গিয়ে ছিল।
এরপর আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। শনিবার সকালে মরদেহের সন্ধান পেয়ে কুমারখালী এসে মাকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। মাথায় আঘাতের চিহৃ আছে। ধর্ষণের পর হত্যা করা হতে পারে বলে পুলিশের সন্দেহ। সেজন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মামলার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। কুমারখালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও সুরতহাল প্রস্তুতকারী কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ বলেন, “মাথায় আঘাতের ক্ষত আছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।” এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার জিয়াউর রহমান বলেন, “ময়নাতদন্ত রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কোন কিছু নিশ্চিত করে বলা যাবে না।”