
কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ে
দুদক ও স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযান
হৃদয় রায়হান, কুষ্টিয়াঃ
কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ে জনবল নিয়োগ এর পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক ও স্বাস্থ্য বিভাগ।
অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সোমবার বেলা ১১টার দিকে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুষ্টিয়ার একটি টিম সিভিল সার্জন অফিসে যায়।
পরে বেলা বারোটার দিকে স্বাস্থ্য বিভাগের একটি উচ্চপর্যায়ের টিম অভিযোগ তদন্তে ওই কার্যালয়ে যান।
এ সময় উভয় টিমের সদস্যরা সিভিল সার্জন ডা. শেখ মোঃ মোঃ কামাল হোসেন, কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আরএমও হোসেন ইমামসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলেন।
পরে দুদক টিমের সদস্যরা নিয়োগ পরীক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীদের মোবাইল ফোন জব্দ করেন। স্বাস্থ্য বিভাগের টিমে নেতৃত্ব দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রশাসন অধ্যাপক ডাক্তার খায়ের আহমেদ চৌধুরী।
এছাড়া দুদকের টিমের নেতৃত্বে ছিলেন সম্মানিত জেলা কার্যালয় কুষ্টিয়ার উপ-পরিচালক মইনুল আহসান রওশনী। পরে উভয় টিম প্রধান সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন।
এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাক্তার খায়ের আহমেদ চৌধুরী বলেন, তার নেতৃত্বে ৩ সদস্যের কমিটি হয়েছে। তিন কার্য দিবসের মধ্যে তারা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
তিনি বলেন, ঘটনার ব্যাপারে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও বিশ্লেষণ করছেন তারা।
পাশাপাশি আরএমও ডাক্তার হোসেন ইমামের সংশ্লিষ্টতাসহ সবকিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে বিস্তারিত কিছু জানাতে না পারলেও কিছু একটা যে ঘটেছে, সে গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। দুদকের উপপরিচালক মইনুল আহসান রওশানি বলেন, নিয়োগ পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুজনের মোবাইল ফোন জব্দ করেছেন।
এছাড়া বিভিন্ন নথিপত্র যাচাই-বাছাই করছেন। তবে এদিন আর এম ও ডাক্তার হাসান ইমাম ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতার কথা পুনরায় গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে অস্বীকার করেন।
এদিকে তদন্ত কমিটির কাছে নিজের অবস্থান জানানোর পর হোসেন ইমাম সিভিল সার্জন কার্যালয় ত্যাগ করার চেষ্টা করলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা তার উপর চড়াও হয়।
এ সময় তাকে তাকে লক্ষ্য করে ডিম ছুঁড়ে মারতে দেখা যায়। হামলার মুখে হোসেন ইমাম পুনরায় সিভিল সার্জন অফিসে গিয়ে আশ্রয় নেন।