কুষ্টিয়ার চরসাদিপুরকে পাবনার সঙ্গে সংযুক্ত না করার দাবিতে মানববন্ধন

আইন আদালত খুলনা জাতীয় রাজনীতি সারাদেশ
শেয়ার করুন....,

কুষ্টিয়ার চরসাদিপুরকে পাবনার সঙ্গে সংযুক্ত না করার দাবিতে মানববন্ধন 

হৃদয় রায়হান, কুষ্টিয়াঃ

কুষ্টিয়ার কুমারখালীর ১১ নম্বর চরসাদিপুর ইউনিয়নকে গোপনে পাবনার সঙ্গে সংযুক্ত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে পাবনা প্রশাসনের বিরুদ্ধে।

রবিবার দুপুরে কুমারখালী উপজেলা পরিষদ চত্বরে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়।

মানববন্ধন শেষে চরসাদিপুরকে পাবনার সঙ্গে সংযুক্ত না করার দাবিতে কুমারখালী উপজেলা প্রশাসনের কাছে গণপিটিশন জমা দেন এলাকাবাসী।

চরসাদিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল মজিদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম আজমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কুমারখালী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল উদ্দিন বাবু, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক জাকারিয়া আনছার মিলন, স্থানীয় ব্যবসায়ী মালেক বিশ্বাস, কৃষক হামিদ সরদার প্রমুখ।

আরো পড়ুনঃ

বাবা মায়ের কবরে সমাহিত হলেন ‘লালনসম্রাজ্ঞী’ ফরিদা পারভীন

 

বক্তারা বলেন, পদ্মা নদীর কারণে জেলা ও উপজেলা শহর থেকে বিচ্ছিন্ন চরসাদিপুর ইউনিয়ন।

একটি চক্র ব্যক্তিগত স্বার্থে চরসাদিপুরকে পার্শ্ববর্তী পাবনা জেলার সঙ্গে সংযুক্ত করার চেষ্টা করছে। ১৩ আগস্ট পাবনা জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের চরসাদিপুর পরিদর্শনের পরিকল্পনার প্রতিবাদে এলাকাবাসী মানববন্ধন আয়োজন করেছিল।

ওই সময় কিছু দুর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ হামলা চালিয়ে সমাবেশস্থলের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে। আন্দোলনকারীরা আরও জানিয়েছেন, এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। আমরা প্রশাসনের নিকট গণপিটিশন দিয়েছি। দাবি না মানলে হরতাল-অবরোধ করা হবে।

প্রয়োজনে ডিসি কার্যালয় ঘেরাও করা হবে। স্থানীয়রা জানান, পদ্মা নদীর তীর ঘেঁষে প্রায় ২৫ বর্গমাইল আয়তন নিয়ে ১৯৯৮ সালে গঠিত চরসাদিপুর ইউনিয়নে ৯টি গ্রামে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ বসবাস করে।

উপজেলা শহর থেকে এটি ১৭ কিলোমিটার, জেলা শহর থেকে ২৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বর্ষা মৌসুমে যোগাযোগের একমাত্র বাহন হলো ইঞ্জিনচালিত নৌকা। চরসাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেছের আলী খাঁ বলেন, আমরা শান্তিতে আছি।

জন্মভূমির নামেই থাকতে চাই। একবার তদন্তের নামে হামলার ঘটনা ঘটেছে। প্রশাসনের একটি গাড়ি এলাকা পরিদর্শন করেছে কিন্তু আমাকে কিছু জানায়নি।

পাবনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) এস.এম. ফুয়াদ ফোনে জানান, বিষয়টি তার কাছে জানা নেই, খোঁজ নিয়ে পরে জানানো হবে।

কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস.এম. মিকাইল ইসলাম বলেন, পাবনায় সংযুক্ত না করার দাবিতে গণপিটিশন পেয়েছি। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।


শেয়ার করুন....,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *