ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে কুবি শিক্ষার্থী ও তার মাকে হত্যা !

আইন আদালত কুমিল্লা চট্টগ্রাম শিক্ষা সারাদেশ
শেয়ার করুন....,

ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে কুবি শিক্ষার্থী ও তার মাকে হত্যা ! 

কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ

ধর্ষণ চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে কুমিল্লা এ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও তার মাকে হত্যা করেছে ঘাতক মোবারক।

 

পালিয়ে যাবার সময় রেলস্টেশন থেকে তাকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পুলিশের বিবরনীর একটি অংশ হুবহু তুলে ধরা হলো।

“গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ মোবারক হোসেন-কে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ভিকটিম তাহমিনা বেগম ফাতেমা এর মেয়ে ভিকটিম সুমাইয়া আফরিন রিনথিকে কথিত জ্বীনে ধরায় ভিকটিম তাহমিনা বেগম ফাতেমা তার মেয়েকে বাবুস সালাম জমিরিয়া মাদরাসা এব ইলিয়াস হুজুরের কাছে ঝাড়-ফুক করার জন্য যেতেন। সেখানে আসামী মোঃ মোবারক হোসেন এর সাথে পরিচয় হলে ভিকটিম তাহমিনা বেগম ফাতেমা আসামীকে তার বাসায় মেয়েকে এসে ঝাড়-ফুক দিতে বলেন।

 

আসামী মোঃ মোবারক হোসেন কয়েকবার ভিকটিমের বাসায় গিয়ে ভিকটিম সুমাইয়া আফরিন রিনথি-কে ঝাড়-ফুক করে আসে।

 

আনুমানিক এক মাস যাবত আসামী ভিকটিমের বাসায় আসা-যাওয়া করত।

 

ঘটনার দিন সকাল ০৮:৩০ ঘটিকায় আসামী মোঃ মোবারক হোসেন একটি কমলা রংয়ের শপিং ব্যাগ ও একটি কালো রংয়ের ব্যাগ নিয়ে ভিকটিমের বাসায় প্রবেশ করে।

 

অতঃপর ভিকটিম সুমাইয়া আফরিন রিনথিকে ঝাড়-ফুক করে বাসায় পানি ছিটায়।

 

অনুমান ১১:২৩ ঘটিকায় বাসার বাহিরে যায় অতঃপর পুনরায় ১১:৩৪ ঘটিকায় ভিকটিমের বাসায় ফিরে দেখে ভিকটিম তাহমিনা বেগম ফাতেমা তার রুমে শুয়ে আছেন।

আসামী মোঃ মোবারক হোসেন সরাসরি ভিকটিম সুমাইয়া আফরিন বিনথি এর রুমে গিয়ে ভিকটিম সুমাইয়া আফরিন রিনথিকে ধর্ষণের চেষ্টাকালে ভিকটিম সুমাইয়া আফরিন বিনদি এর মা তাহমিনা বেগম ফাতেমা দেখে ফেলেন এবং তিনি আসামীকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে প্রথমে আসামী মোঃ মোবারক হোসেন ও তাহমিনা বেগম ফাতেমা এর মধ্যে ধস্তাগপ্তি হয়।

 

পরবর্তীতে আসামী মোবারক হোসেন ভিকটিম তাহমিনা বেগম ফাতেমা-কে তার রুমে নিয়ে গিয়ে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলে।

 

অতঃপর ভিকটিম সুমাইয়া আফরিন রিনথি এর রুমে প্রবেশ করে আবার ভিকটিম সুমাইয়া আফরিন বিনয়ি-কে ধর্ষণের চেষ্টাকালে ভিকটিম সুমাইয়া প্রতিরোধ করতে গেলে তাকে গলা চেপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

 

এরপর আসামী মোবারক ভিকটিমের বাড়িতে থাকা ৪ (চারটি) মোবাইল ও ০১ (একটি) ল্যাপটপ চুরি চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যায়।

অসোমীর কাছে থেকে চোরাইকৃত ৪ (চারটি) মোবাইল ও ১ (একটি) ল্যাপটপ, মোবাইল ও ল্যাপটপের চার্জার উদ্ধার করে।

এছাড়া আসামী ভিকটিমের বাসায় কমলা রংয়ের যে ব্যাগটি নিয়ে প্রবেশ করে তা আসামীর বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।


শেয়ার করুন....,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *