শ্রীবরদীতে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

অর্থনীতি আইন আদালত জাতীয় ময়মনসিংহ রাজনীতি সারাদেশ
শেয়ার করুন....,

শ্রীবরদীতে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

আব্দুল লতিফ, শ্রীবরদীঃ

শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার রানীশিমুল ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে টিআর, কাবিখা ও কাবিটা প্রকল্পের কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয়দের দাবি, প্রকল্পে বরাদ্দ ছিল লক্ষাধিক টাকা, কিন্তু বাস্তবে মাত্র ২২ হাজার টাকার মতো কাজ হয়েছে। রাস্তা সংস্কারের নামে বালু বা নতুন মাটি আনা হয়নি; বরং রাস্তারই মাটি সামান্য কেটে সমান করে কাজের নাম করে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।

অভিযোগে জানা যায়, টি-আর কাবিখা প্রকল্পের আওতায় ওয়ার্ডের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাঁচা রাস্তা সংস্কারের জন্য সরকার থেকে বাজেট বরাদ্দ হয়।

কাজের দায়িত্বে প্রকল্প সভাপতি ছিলেন স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) বেলায়েত হোসেন লাভলু।

তবে কাজের গুণগতমান ও পরিমাণ দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গ্রামবাসী। তাদের দাবি, বরাদ্দকৃত অর্থের সঠিক ব্যবহার হয়নি, বরং প্রকল্পের নামে লোক দেখানো কাজ করে অধিকাংশ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

স্থানীয় মো: মাসুদ হাসান বলেন আমরা ভেবে ছিলাম এই প্রকল্পে রাস্তা ভালো হবে, কিন্তু কাজ দেখে মনে হয় শুধু নামেই হয়েছে। রাস্তার মাটি আগেরটাই টেনে সমান করেছে, নতুন বালু-মাটি কিছুই দেয়নি। আমরা রাস্তার অভাবে খুব ভোগান্তিতে আছি, আমরা ঠিক মত হাটা চলা করতে পারিনা, কোন যানবাহন ঢুকলে দূর্ঘটনা হবার সম্ভাবনা থাকে। তাই এই রাস্তায় কোন যানবাহন চলেনা, এই রাস্তা দিয়ে এই গ্রামের ২ হাজার লোক দৈনিক যাতায়াত করেন, আমার সরকারের কাছে দাবী এই রাস্তা দ্রুত মেরামত করে দেওয়া হোক।

একই গ্রামের ছোবাহান মিয়া বলেন, ৫ জন শ্রমিক ৪ দিন ২২ হাজার টাকার কাজ করেছে, এখন কাদাযুক্ত রাস্তার কারনে, আমরা
চলাচল করতে পারছি না, আমরা সঠিক তদন্ত চাই।

মন্ডল পাড়ার যুবক মো: মুনায়েম বলেন, প্রকল্পের টাকা অনেক, কিন্তু কাজ খুব কম। রাস্তা কোন সংস্কার করা হয় নাই, নাম মাত্র কাজ দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করেছে আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চাই।

স্থানীয় গৃহিণী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিনি বলেন, মেম্বার সাহেব কাজের দিন এসেছিলেন, কিন্তু পরে আর দেখিনি। শ্রমিকও খুব কম ছিল। আমরা খুব দূর্ভোগে আছি ছেলে মেয়ে স্কুলে যেতে পারে না, ইমাজেন্সী মুহুর্তে এম্বুলেন্স ঢুকে না, এমন কি ঠিক মত পায়ে হেটে যাওয়া খুব মুশকিল হয়ে পড়ে।

মন্ডল পাড়ার মাসুম মিয়া বলেন, আমরা কয়েকজন মিলে গিয়ে দেখি বালু বা নতুন মাটি কিছুই আনা হয়নি। রাস্তার মাটি কেটে আবার সমান করে দিয়েছে। এটা স্পষ্ট টাকা আত্মসাৎ। আমরা আমাদের ববরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে রাস্তা সংস্কার চাই।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য বেলায়েত হোসেন লাভলুর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জাবের আহম্মেদ বলেন, অভিযোগের বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি। প্রমাণ পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


শেয়ার করুন....,

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *