
ঝিনাইগাতীতে চাঁদার দাবীতে গৃহহীনকে বের করে দেয়ার হুমকি
আল-আমিন, শেরপুরঃ
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে চাঁদা না পেয়ে গুচ্ছ গ্রামের ঘর থেকে শেফালী বেগম নামে এক গৃহহীন পরিবারকে বের করে দেয়ার হুমকির অভিযোগ উঠেছে গুচ্ছ গ্রামের সভাপতি সম্পাদকসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে।
এ অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে সোনা মিয়া বাদি হয়ে ১০ জনকে আসামী করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে প্রকাশ, ২০১২ সালে উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের গোমড়া গ্রামে একটি গুচ্ছ গ্রাম নির্মাণ করে সরকার। এ গুচ্ছ গ্রামে ৩০ পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়। ২৮ নং ঘরটি বরাদ্দ দেয়া হয় জসিম মারাক নামে একজন খ্রিষ্টান পরিবারকে।
জানা গেছে ঘর বরাদ্দ পাওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই জসিম মারাকের মৃত্যু হয়।
এসময় পরিবারের লোকজন ঘরটি ফেলে রেখে অন্যত্র চলে যায়। দীর্ঘ ১২ বছর ঘরটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পরে আছে।
গত ১ জুলাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল ওই পরিত্যক্ত ঘরে শেফালী নামে একজন গৃহহীন পরিবারকে নতুন করে পুনর্বাসন করেন।
এঘটনার পরদিন গুচ্ছ গ্রামের সভাপতি আব্দুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক জনাব আলী শেফালী বেগম ও তার অভিভাবকের কাছে ২০ হাজার টাকা দাবি করে।
কিন্তু শেফালী বেগমের পরিবার তাদের দাবি অনুযায়ী চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে শেফালী বেগমকে গুচ্ছ গ্রামের ঘর থেকে বের করে দিতে আব্দুর রহমান ও জনাব আলী গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়।
শেফালী বেগমকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে নাছিমা বেগম নামে এক নারিকে ওই ঘরে তুলে চাইছেন তারা নাছিমা বেগমের স্বামীর বাড়ি রাজশাহী তে। নাছিমার মা পারভীন গুচ্ছ গ্রামের অপর একটি ঘরেই থাকেন।
অভিযোগে প্রকাশ, শেফালী বেগমকে ঘর থেকে বের করে নাসিমাকে ঘরে তুলে দেয়ার উদ্দেশ্যে ৫ জুলাই শনিবার সকালে আব্দুর রহমান ও আলীসহ তাদের অন্যান্য লোকজন শেফালী বেগমের বাড়িতে যান। তাকে ঘর থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করে।
এ সময় ঘর থেকে বের করতে না পেরে নানাভাবে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। বর্তমানেও শেফালী বেগমকে ঘর থেকে বের করতে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন তারা।
এ ব্যাপারে শেফালীর পিতা সোনা মিয়া বাদি হয়ে গুচ্ছ গ্রামের সভাপতি আব্দুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আলীসহ ১০ জনকে আসামী করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অন্যান্য বিবাদীরা হলেন উসমান গনি, ভোমা মিয়া,কোরবান আলী, আনার আলী, ইমান আলী, নাছিমা বেগম, মমেনা বেগম ও আক্কাস আলী।
এ ব্যাপারে গুচ্ছ গ্রামের সভাপতি আব্দুর রহমান বলেন শেফালী বেগমের কাছে আমরা কোন চাঁদা চাইনি। ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানুয়াট।
থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রবিউল আজম বলেন এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধিন।