
সাঁথিয়া ইছামতী নদীতে কচুরিপানা অপসারণ
রিফাত,পাবনাঃ
পাবনার সাঁথিয়ায় প্রায় দুই যুগ ধরে পাউবো’র প্রধান সেচখাল ইছামতি নদীতে কচুরিপানায় ঢেকে ছিল। এতে নদীর পানি দুষিত হয়ে থাকতো সারাবছর। সেই দুষিত পানি গোসলসহ গৃহস্থলীর কাজে ব্যবহার হত। ফলে নানা রোগে ভুগছিলেন এলাকার শিশুবৃদ্ধসহ সকল পেশার মানুষ। শুধু তাই নয় গবাদীপশুরাও রেহাই পাননি এই দুষিত পানি থেকে। খুরা রোগসহ নানা ব্যধিতে জর্জড়িত ছিল ।
কচুরিপানার জ্বালায় অতিষ্ট এ এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পুরনো এগিয়ে এসেছেন এ এলাকার গর্ব, স্বনামখ্যাত ব্যাক্তিত্ত্ব ফ্রিল্যান্স ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্ট সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট এবং ৬৮,পাবনা-১ বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশী সাইয়েদ আব্দুল্লাহ।
তাঁর অক্লান্ত প্রচেষ্টায় বর্তমান অন্তর্বতীকালীন সরকারের বিভিন্ন উপদেষ্টার দপ্তরে ঘুরে ঘুরে অবশেষে পাউবো কর্তৃপক্ষ সাঁথিয়া থেকে মাধপুর পর্যন্ত প্রায় ৪২ কিলোমিটার ইছামতী নদীতে কচুরিপানা অপসারণে ৪৩ লক্ষ ১৯ হাজার টাকার প্রকল্প হাতে নেয়। এরই প্রথম পর্যায়ে অপসারণের কাজ গত বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকেলে পৌরসভাধীন আফতাবনগর এলাকায় উদ্বোধন করেন তিনি।
এ সময় সাইয়েদ আব্দুল্লাহ বলেন, আমি আপনাদের সন্তান,তাই এই ইছামতি আবার যেন আগের মত প্রাণ ফিরে পায় মানুষ নিশ্চিন্তে গোছলসহ সকল গৃহাস্থলীর কাজ করতে পারে সে জন্য আমার প্রচেস্টা ছিল।
তিনি বলেন, আমি উপদেস্টাও নই, বা সরকারের কোন বড় কর্মকর্তা নই। আমি একজন সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট হিসেবে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে আমি উপদেষ্টা মহোদয়কে অনুরোধ করে দপ্তরে ঘুরে ঘুরে প্রকল্পটা নিয়ে এসেছি। এইটা শেষ হওয়া পর এই নদীতে আগের মতই সাঁতার কেটে গোছল করবে এ অঞ্চলের মানুষ। এই ইছামতিতে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ ও সাঁতার প্রতিযোগীতাসহ নানা কৃষ্টিকালচারে পুনরায় ফিরে আসবে তার হারানো ঐতিহ্য।
জানা গেছে, পাবনা সেচ ও পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আই-৩ (ইছামতি নদী) ৪২ কিলোমিটার প্রধান সেচ খালের মধ্যে ৫ কিলোমিটার নদীর কচুরিপানা প্রথম পর্যায়ে অপসারণ করা হবে। পর্যায়ক্রমে পুরো নদীর কচুরিপানা অপসারণ করা হবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বেড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হায়দার আলী, উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল খালেক, উপ-সহকারী প্রকৌশলী হাবিবুর রহমানসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।