
শেরপুরে অবৈধ
বেকারির ছড়াছড়ি
ফজলুল হক, শেরপুরঃ
শেরপুরের আনাচে কানাচে গড়ে উঠেছে অসংখ্য অনুমোদনহীন বেকারি। এসব বেকারীতে বিভিন্ন কেক, টোস্ট বিস্কুট সহ নানা ধরনের ফুড আইটেম তৈরি করা হয়। তবে অভিযোগ উঠেছে এসব বেকারির নেই কোন স্বাস্থ্য সনদ কিংবা পরিবেশ অধিদপ্তরের সনদ। অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে মানহীন কেক, বিস্কুট সহ নানা খাদ্য তৈরির ফলে শিশু সহ সকল বয়সীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পরেছে।
সরেজমিনে গিয়ে শেরপুর পৌর এলাকার মধ্য নওহাটায় দেলোয়ার হোসেন এর মালিকানায় রুহানি কেক গ্যালারী এন্ড ফুড নামে একটি বেকারীতে কয়েকজন শ্রমিক অত্যন্ত নোংরা ওর স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে বেকারির বিভিন্ন কেক, পাউরুটি, টোস্ট বিস্কুট, নিমকি, চানাচুর সহ নানা বেকারী আইটেম বিভিন্ন কেমিক্যাল মিশিয়ে তৈরী করছে।
এর মধ্যে একজন শিশু শ্রমিকও আছে। তবে তার বেকারি পরিচালনার কোন অনুমোদন আছে কিনা দেলোয়ারের কাছে জানতে চাইলে কোন কাগজ পত্র দেখাতে পারেন নি। শুধু পৌরসভার ট্রেড লাইসেন্স আছে বলে জানান। দুই বছর ধরে বেকারি চালাচ্ছেন তিনি। ” তবে শুধু ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে বেকারি চালানো যায় কিনা এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি।
বেস্ট কেক গ্যালারী নামে একটি বেকারি দীর্ঘ দিন যাবৎ গোপনে বেকারি কারখানা চালিয়ে যাচ্ছে। বেকারির মালিক সিদ্দিকের কাছে অনুমোদন আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি কোন ধরনের অনুমোদন দেখাতে পারেন নি।
তিনি আরও জানান, ব্যবসায় বাদ দিব। একই অবস্থা মোবারকপুরস্থ অভিজাত বেকারির ও। সেখানে গিয়ে দেখা যায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কেক সহ নানা ধরনের বিস্কুট বানানো হচ্ছে। এবিষয়ে অভিজাত বেকারির মালিক রতন এর কাছে অনুমোদন আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হন নি।
এব্যাপারে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এর জেলা কর্মকর্তা শাকিলুজ্জামান এর সাথে মুঠোফোন এ কথা বললে তিনি বলেন, আমরা কোন খাদ্য প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দেই না। আমরা শুধু মনিটরিং করি। সেক্ষেত্রে কোন স্বাস্থ্য বা পরিবেশ অসংগতি দেখা গেলে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেই।
অনুমোদনহীন বেকারি বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর এর শেরপুর কার্যালয়ে যোগাযোগ করলে পরিদর্শক সুশীল কুমার দাস বলেন, আমরা এক্ষেত্রে পরিবেশ ছাড়পত্র নেই বা অনুমোদনহীন বেকারিতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। তথ্য পেলে আমরা ব্যবস্থা নিব।