
রায়পুরে সন্তানকে বিষ পানে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যা !
তাবারক হোসেন আজাদ, লক্ষ্মীপুরঃ
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বিবাহিত বড় মেয়ের সঙ্গে ঝগড়া করে এক শিশু সন্তানকে বিষ খাইয়ে হত্যা করার পর মা আত্মহত্যা করেছেন।
নিহতরা হলেন-রায়পুর উপজেলার দক্ষিন চরবংশী ইউপির চরলক্ষি গ্রামের গিয়াস উদ্দিন মাঝি বাড়ীর কৃষক সাহাবুদ্দিন মাঝির স্ত্রী তাসলিমা বেগম (৪০) ও মেয়ে মিতু আক্তার (২)।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) ভোরে এ ঘটনা ঘটে।
রায়পুর থানার ওসি তদন্ত আবদুল মান্নান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তাদের পরিবার জানায়, প্রায় তিন বছর আগে চরলক্ষি গ্রামের আবদুল করিমের ছেলে মাহফুজ আলমের সঙ্গে বড় মেয়ে সাবিনা আক্তারকে বিয়ে দেয়া হয়। সেই সংসারে স্বামী সঙ্গে মনোমালিন্য চলছিলো সাবিনা আক্তারের।
এ নিয়ে শশুর পরিবারের সাথে প্রায়ই ঝগড়া হতো বড় মেয়ে সাবিনা আক্তারের। এনিয়ে গত এক মাস ধরে মা ও বড় মেয়ের ঝগড়া চলছে। মেয়েকে নিষেধ করার পরেও সে পরোকিয়া বন্ধ করেনি।
মঙ্গলবার সকালে মা ও মেয়ের ঝগড়া হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বসতঘরের পাশে ধান খেতে গিয়ে তাসলিমা বেগম তার এক শিশু কন্যার মুখে বিষ দিয়ে নিজেও পান করেন।
এ সময় আশপাশের লোকজন লোকজন তাদের উদ্ধার করে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের স্বামী সাহাবুদ্দিন মাঝি তার স্ত্রী ও শিশু সন্তানের হত্যাকারি উল্লেখ্য করে বড় মেয়ে সাবিনার বিচার চেয়েছেন।
অভিযুক্ত সাবিনা আক্তার কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
আল আমিন নামের এক গ্রামবাসী জানান, হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মাসহ দুই বছরের শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে রায়পুর থানা পুলিশ নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান এবং ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
রায়পুরের দক্ষিন চরবংশী ইউপি চেয়ারম্যান আবু সালেহ মিন্টু ফরাজি বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক।
বড় মেয়ের পরোকিয়ার কারনে মা ও শিশু সন্তান বিষ পানে আত্নহত্যা করলো। আইনেই বড় মেয়ের বিচার হবে।